নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি প্রধান সূচকের পতন দেখা গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৩২৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৮টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৫৫২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ১৫ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৫৭৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২০ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৩৭টি শেয়ার ৫ হাজার ২১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৮৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৭২৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওরিয়ন ইনফিউশন ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ এবং বাকি ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ০৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ওরিয়ন ইনফিউশন ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে কোহিনুর কেমিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফার্মা এইডসের দর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ই জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ। শাশা ডেনিমস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া বিডি থাই ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ।
