সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্বর্ণের দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের শক্ত অবস্থানের খবরে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে স্বর্ণের দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমে সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। খবর রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার জেরে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে কয়েক দিন ধরে স্বর্ণের দামে এমনিতেই নি¤œমুখী প্রবণতা রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বরে সুদহার বৃদ্ধির ইঙ্গিত। আর সর্বশেষ প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের ইতিবাচক খবর। এদিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

স্পট মার্কেটে গতকাল লেনদেনের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ২৬৭ ডলার ৭৬ সেন্ট। গত আগস্টের মাঝামাঝির পর এ দামই ছিল সর্বনি¤œ। তবে লেনদেনের শেষের দিকে এর দাম আবার কিছুটা বেড়ে এক হাজার ২৬৯ ডলার ৭১ সেন্টে লেনদেন হয়।

এছাড়া ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ লেনদেন হয় এক হাজার ২৭২ ডলার ৬০ সেন্টে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় এটি দশমিক তিন শতাংশ কম দামে লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ইয়েনসহ বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আগস্টে মূল্যস্ফীতি তেমন না বাড়লেও গত শুক্রবার বছরের সবচেয়ে ভালো সপ্তাহ পার করেছে ডলার। এতে ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।

সুদহার বাড়লে ডলারের দাম বাড়ে। এতে বন্ডসহ অন্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ে। তবে ডলার শক্তিশালী হলে স্বর্ণের মতো লভ্যাংশহীন পণ্যে বিনিয়োগ কমে যায়। ফলে এসব পণ্যের বাজারে নি¤œমুখী চাপ সৃষ্টি হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খুব শিগগির স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি আবারও এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০ ডলারে নেমে আসতে পারে।

কানাডাভিত্তিক গণমাধ্যম কিটকোডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ছিল এক হাজার ৩৬২ ডলার। এ দাম ছয় শতাংশের বেশি কমে এক হাজার এক হাজার ২৭২ ডলারে পৌঁছেছে।

ব্রিটেনভিত্তিক ইটিএফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গবেষণা ও বিনিয়োগ কৌশল বিভাগের প্রধান জেমস বাটারফিল বলেন, বেশ কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর স্বর্ণের বাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে। ফেডের সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাজারে প্রভাব ফেলছে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উত্তেজনা স্বর্ণের দাম কমাতে ভ‚মিকা রেখেছে।