নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এবি ব্যাংক। এ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য কমেছে। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় এক পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬৭ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা (ঘাটতি)। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৮ টাকা ৫ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ১১ টাকা ২০ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ জুন বেলা সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ মে।
এদিকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ২ শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫৯ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৮ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৯৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৭ কোটি ৮১ লাখ ৩২ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং বাকি ৪৪ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৯ দশমিক ২৮ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৬ দশমিক ০৪।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। ওইদিন ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৩টি শেয়ার মোট ৮২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৮৩ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।