ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বাজার

রুবাইয়াত রিক্তা: আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও দেশের উভয় পুঁজিবাজার ইতিবাচক ধারায় ছিল। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। অধিকাংশ খাতেই শেয়ারদর কম-বেশি বেড়েছে। দর বৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল বিমা, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। বিমা খাতে ৮৫ শতাংশ, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে ৭৬ শতাংশ, জ্বালানি খাতে ৭২ শতাংশ এবং আর্থিক খাতে ৫২ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে শতভাগ নেতিবাচক ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাতের শেয়ারদর। মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশ ব্যাংক খাতের হলেও এ খাতের মাত্র ১২ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির এবং বাকিগুলো অপরিবর্তিত ছিল। অর্থাৎ লেনদেন বেশি হলেও এ খাতে বিক্রির প্রবণতা ছিল অধিক। অবশেষে বিনিয়োগকারীদের বোধোদয় হচ্ছে। ব্যাংক খাতের মোহ কাটিয়ে তারা ঝুঁকছেন অন্যান্য খাতে। এটি অবশ্যই বাজারের জন্য ইতিবাচক। এতে একটি খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পুঁজিবাজার শক্তিশালী অবস্থানে যাবে।

গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ৪২০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশ। আগের দিন মোট লেনদেনের ৫০ শতাংশ ছিল এ খাতের। অর্থাৎ গতকাল দুই শতাংশ লেনদেন কমেছে ব্যাংক খাতে। টপ টেন গেইনার তালিকায় এ খাতের একমাত্র ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অবস্থান করে। আগের দিন মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ আর্থিক খাতে হলেও গতকাল তা ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে তিন শতাংশ। এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দুই শতাংশ,  বিমা ও প্রকৌশল খাতে এক শতাংশ হারে লেনদেন বেড়েছে। অন্যান্য খাতে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। গতকাল সাড়ে ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে বাজারে নেতৃত্ব দেয় লংকাবাংলা ফিন্যান্স। এরপর এক্সিম ব্যাংক ৪০ কোটি, সিটি ব্যাংক ৩৪ কোটি, আমরা নেট ৩১ কোটি, ডাচ্-বাংলা ২৯ কোটি, এনসিসি ব্যাংক ২৭ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক সাড়ে ২৬ কোটি, এনবিএল সাড়ে ২২ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ও বিবিএস কেবল্সের ২০ কোটি টাকার শেয়ার  লেনদেন হয়। নতুন তালিকাভুক্ত আমরা নেটের দর গতকালও ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ১২ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের মোট লেনদেনের ৮০ শতাংশই ছিল এ কোম্পানিটির। এছাড়া গতকাল বেশ কিছু দুর্বল কোম্পানি দর বৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করে। এর মধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, জিলবাংলা আট দশমিক ৭৭ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকস আট দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির দর আট দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।