প্রতিনিধি, চবি: অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। কাঁটা পাহাড়ের পথ পেরিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে গেলেই চোখে পড়বে এক টুকরো ‘রাঙামাটি’ অর্থাৎ ঝুলন্ত সেতু। বিশ্ববিদ্যালয়ে খালের ওপর নির্মিত হয়েছিল এই ঝুলন্ত সেতু। দৈর্ঘ্য প্রস্থে রাঙামাটির মতো বৃহৎ না হলেও, এটিকে ‘মিনি রাঙামাটি’ বলা যেতে পারে। চবি ক্যাম্পাসে পাহাড়ের রাজ্যে বিশেষ আকর্ষণ হলো এ ঝুলন্ত সেতু।
ব্যতিক্রমী এ স্থাপনাকে ঘিরে সারাদিন চলে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, আড্ডা আর গানের মহড়া। শিক্ষার্থীদের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রশাসনিক ভবন ও কলা অনুষদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই সেতুটি।
যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গৌরভ হারিয়েছে এটি। ভেঙে পড়েছে সেতুর পাটাতন। ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্ঘটনা এড়াতে দুই পাশে কাঁটাতার বসিয়ে এতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে ৬ বছর পর এই নান্দনিক সৌন্দর্যের ঝুলন্ত সেতুর নতুন করে সংস্কার কাজ আগামী জুলাইয়ে শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের। জাতীয় বাজেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অধিবেশনের পর এ সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানা যায়।
সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের জানান, ইতোমধ্যে আমরা ঝুলন্ত সেতুর সংস্কার কাজের উদ্যোগ নিয়েছি। চলতি বছরের জুলাইতে আমরা এটার সংস্কার কাজ শুরু করব। বাজেটের পরপরই আমরা এটাতে হাত দেব। কারণ আমি ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায় কেমন ব্যয় হচ্ছে সেটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আস্তে আস্তে হয়ে যাবে। এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, চবির প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থীর অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সবার জন্য উš§ুক্ত করে দেয়া হয়।