প্রথম প্রান্তিকে আয় বাড়লেও সম্পদ কমেছে সিটি ব্যাংকের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংক পিএলসি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বাড়লেও সম্পদ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ২ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৩১ টাকা ৪২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ৭১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা (ঘাটতি)।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ মে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৪৭ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩৪ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৪ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। ওইদিন ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৫টি শেয়ার মোট ২২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০