বাংলায় নবচেতনা ও রোমান্টিসিজম

অনাথ শিশুর মতো যার জীবনখানি নিস্তরঙ্গে নিথর হতে পারতো নিযুত জীবনের নিঠুর নিয়তিপাশে তিনি জুগিয়েছেন হৃৎস্পন্দনের খোরাক। দেশের জন্য লড়েছেন। শূন্য জমিনে গড়েছেন ব্যবসায় কাঠামো। জীবনের সব অর্জন লিখে দিয়েছেন মানুষের নামে। তিনিই দেশের সবচেয়ে সফল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর জনক রণদা প্রসাদ সাহা। নারীশিক্ষা ও চিকিৎসায় নারী-পুরুষ কিংবা ধনী-গরিবের ভেদ ভেঙেছেন। তার জীবনেই রয়েছে সসীমকে ডিঙিয়ে অসীমে শক্তি সঞ্চারের কথামালা। এ জীবন ও কেতন যেন রোমাঞ্চিত হৃদয়েরই উদ্দীপ্ত প্রেরণা। পর্ব-২১….

মিজানুর রহমান শেলী: ব্রিটিশ ভারতের এ সময়টা ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। বাঘা বাঘা রাজনীতিকের জীবন যেমন রাজনীতির আবহে প্রাচুর্যমণ্ডিত হয়েছে, তেমনি তারা ত্যাগ-তিতিক্ষার দীর্ঘ পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়েছেন। সময় আর পরিস্থিতি মানুষকে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে সহায়ক হয়। তবে তাদের অবশ্যই ওই পরিস্থিতিতে সম্পন্ন করতে হয় সঠিক ও যুগপোযোগী কাজটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এ যুগসন্ধিক্ষণে ভারত তথা বাংলার রাজনীতিতে এক বড় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল অবিসংবাদিত কিছু নেতা। জাতীয়তাবাদী চেতনার জোয়ারও শুরু হয়েছিল সেই থেকে। ফলে ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতির এ চর্চার জন্য যে বিশাল কর্মী বাহিনী লাগে, তার প্রয়োজনটাও মিটেছিল এ পরিবেশে। সে সময় দেশের জন্য আত্মত্যাগী নেতার যেমন জন্ম হয়েছিল, তেমনি জেগে উঠেছিল জনতা। এ ধরনের উত্তাল পরিবেশে কিছু পুরুষ যখনই দেশ-মাটির তরে নিজেকে উজাড় করতে উদ্যত হয়েছেন, তখনই নিজেকে বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছেন। আদতে তারা এগিয়ে থাকা প্রাগ্রসর পুরুষ। রণদা প্রসাদ সাহাও ছিলেন এমনই এক সফল মানুষ।

সময়টা ছিল উত্তাল। বঙ্গভঙ্গ এবং তার পরবর্তী স্বদেশি আন্দোলন নিয়ে তখন বাংলা তথা ভারত ছিল উত্তপ্ত। এ উত্তাপের বীজ রোপিত হয়েছিল উনিশ শতকের গোড়া থেকেই। যার পেছনে ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি। বাংলার এ নব্য যুগ চেতনাকে অনেকেই আধুনিকতা বলেন। তবে পশ্চিমে যে আধুনিকতার মানদণ্ড, তা নয়। আধুনিকতার স্থিতি আর প্রখরতা আরও বেশি ব্যাপক ও গভীর। তবে মানতেই হয়, উনিশ শতকে বাংলার এ চেতনা জেগেছিল পশ্চিমের সভ্যতা আর সংস্কৃতির প্রতারণাপূর্ণ পরশে। যা হোক, আত্মসচেতনতা, রাজনৈতিক চেতনা, নতুন অর্থনৈতিক এবং সেই সূত্রে সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস, জীবনদৃষ্টির ভিন্নতা ইত্যাদি বাংলার কালপ্রাচীন সমাজব্যবস্থাকে নাড়া দিয়েছিল। ফলে ১৮২৯ সালে রামমোহনপন্থিদের পত্রিকা ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’ গৌড়দেশের শ্রীবৃদ্ধিকে ‘ডৌন অব অ্যা নিউ এরা’ (নবযুগের ভোর) বলে অভিহিত করে।

ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি ও রাজনৈতিক দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলার সচেতন মানুষের মনে যে নবজিজ্ঞাসার সূচনা হলো, তার পীঠস্থান ছিল কলকাতা। এ. বি ছদ্মনামে এক ব্যক্তি ‘ক্যালকাটা গেজেট’-এ এক চিঠিতে লেখেন, আমোদপ্রমোদ আর ফ্যাশনের অভিনবত্বে কলকাতা অল্পদিনের মধ্যেই ইউরোপের অধিকাংশ শহরের প্রতিদ্বদ্বী হয়ে উঠবে। জন কলিন্জ ধারণা করেছিলেন, উনিশ শতকের প্রথম দশকেই কলকাতা ইউরোপের ফ্লোরেন্স হবে। কার্যত এ সময়ে কলকাতা বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে উঠল, বাড়িভাড়া ও জমির দাম বেড়ে গেল, জীবনের প্রয়োজনে নানা ভাষাভাষীরা এখানে ভিড় জমাল। ব্রিটিশ সরকার লটারির টাকায় কলকাতার উন্নয়ন শুরু করল। ১৮২৩-এ ‘কলকাতা কমলালয়’ বইতে কলকাতাকে মহানগর বলা হয়েছে। পরের বছর জেমস আটকিনসন একে প্রাসাদনগরী আখ্যা দেন। ১৮৩০ সালে ক্যালকাটা ম্যাগাজিনের এক প্রতিনিধি মন্তব্য করেন, অতীতের কবি ও অন্যরা ট্রয়, করিন্থ বা রোম সম্পর্কে যা বলেছেন বা করেছেন, তা আমাদের এ কলকাতার জন্যও সত্য। পঞ্চাশ বছরের মাঝে আমাদের এ শহর কনস্টানটাইনের রাজধানীর মতো জগতের বিস্ময় আর মানুষের সৃষ্টিক্ষমতা ও ধৈর্যের এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এ কলকাতার ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক পর্ব সম্পর্কে হেনরি এল্মসি বাস্টিড বলেন, আঠারো শতকের একেবারে শেষ অবধি ইংরেজরা কলকাতায় শুধু আফ্রিকান দাসই কেনাবেচা করেনি, বরং নিজেদের প্রয়োজনে দাসদের সন্তান বৃদ্ধির যাবতীয় ব্যবস্থা করতেন। দাস পালালে চাবুক পিটিয়ে মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হতো। সন্ধানে ক্যালকাটা গেজেটের পাতায় পাতায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। ঐতিহাসিক-অর্থনীতিবিদ মেডিসন ও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পত্রিকা ‘দ্য ক্যালকাটা গ্যাজেট অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাডভার্টাইজার’র বক্তব্য অনুসারে বলা যায়, ইংরেজরা কেবল অর্থের লোভে এবং ফিরে গিয়ে আরাম আর বিনোদনের জন্য এখানে এসেছিল। তাদের নৈতিক চরিত্রও ছিল নিচুতর। নারী আসক্তি, ঘোরদৌড়, মদ্যপান আর জুয়াখেলা, অত্যাচার আর লুটতরাজই ছিল তাদের কাজ। ১৭৮০ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস ফিলিপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ম্যাডাম গ্রান্ডকে নিয়ে প্রকাশ্যে ত্রিভুজ যুদ্ধে লড়াই করেছেন।

যা হোক, কলকাতায় তখন নানা ধরনের মানুষের ভিড়। সুযোগসন্ধানীরা দেওয়ানি বা মুচ্ছদগিরি কর্ম করে ভালো পয়সা কামিয়ে নিল। গ্রামেগঞ্জে জমিদারি কিনল। শহরে বসে সে জমিদারির লাভের বখরা নিয়ে রঙ্গরসে দিন কাটাতে থাকে। তবে এ শ্রেণিভুক্তি লোকেদের মাঝে অনেকে কিন্তু প্রমোদে মাতোয়ারা হয়ে গা ভাসিয়ে দেননি। বরঞ্চ তাদের চিন্তাভাবনায় বাংলার নবচেতনা সম্পর্কিত প্রভ‚ত জিজ্ঞাসা জাগরূক হতে থাকে। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন তখনকার প্রথম চিন্তক। আর তিনি ছিলেন একজন দেওয়ান। দ্বারকানাথ ঠাকুরও ছিলেন তার অন্তরঙ্গ। তিনিও সল্ট এজেন্ট মি. প্লাউডেনের দেওয়ান হিসেবে কাজ করেছিলেন দুই বছর। কিছুদিন আবগারি (লবণ ও আফিম) বিভাগে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি ২৪ পরগণা জেলার কালেক্টরের কাজ করেছেন। সে যুগের ‘কলকাতার রথচাইল্ড’ মতিলাল শীল ‘বিদেশাগত জাহাজসকলের মুচ্ছদগিরি কর্ম’ করতেন। রামমোহন-অনুরাগী প্রসন্নকুমার ঠাকুরও ছিলেন সল্ট এজেন্টের দেওয়ান। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি রামকমল সেন কলকাতা প্রিন্টিং প্রেসের কাজ ত্যাগ করে ড. উইলসনের আওতাধীন টাকশালের দেওয়ানি কাজে নিযুক্ত হন। ১৮৩২-এ তিনি বেঙ্গল ব্যাংকের দেওয়ান হিসেবে যোগ দেন। ‘ধর্মসভা’র একনিষ্ঠ সম্পাদক ভবানীচরণ বহু জায়গায় দেওয়ানের কাজ করেছেন।

এ সময়টা ছিল নবজিজ্ঞাসার প্রথম পর্ব। রামমোহন, দ্বারকানাথ বা প্রসন্নকুমারের মতো চিন্তকেরা এই প্রথম পর্বে কেবল ব্যক্তিস্বার্থ বা গোষ্ঠীস্বার্থে কাজ করেছেন। স্বপন বসুর মতে, তাদের দেশীয় ঐতিহ্য সচেতনতার পাশাপাশি পাশ্চাত্য শিক্ষা আর আধুনিকতায় ছিল এক দারুণ মোহ। ফলে তাদের জীবন ও আচার-আচরণে ছিল বিশ্বাস আর যুক্তির বিরোধ। তাই তারা এক নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত পৌঁছে নিজস্ব চিন্তায় ভাষা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এ সময়ের সমাজচিন্তায় কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছেন স্বপন বসু। মানুষ তখন নিজের ওপর বিশ্বাস অর্জন করে। তাই দেবনির্ভরতা কিছুটা কমে আসে। মানবমুখী এ চেতনা তখন সাহিত্যেও আছড়ে পড়ে। তবে বৃহৎ অর্থে মানবিকতা যাকে বলে, তা এ সময় অধরাই রয়ে যায়। জাত-পাত, শ্রেণি-মান ভুলে নিপীড়িত, বঞ্চিত মানবের প্রতি মমতা বা দায়বোধের প্রেরণায় কেউ সাধারণ দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তাই নবজিজ্ঞাসা কেবল শহুরে শিক্ষিতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আদতে তখন দেবমুখিতা উচ্ছেদ হয়ে যায়নি। কোম্পানির লোকেরাও ধর্ম নিয়ে তেমন বড় কোনো উচ্চবাচ্চ করেনি। দেবমুখিতার পাশাপাশি কেউ কেউ মানবমুখী হয়েছিলেন। রামমোহন ছিলেন বিষয়ী, ধর্মাচারী ও জীবনমুখী।

রামমোহন, রাধাকান্তা, ডিরোজিও, বিদ্যাসাগর ছিলেন একেক শ্রেণিবিশেষের প্রতিনিধি। তবুও তারা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তোলেন নিজস্ব কাজকর্মে। এর প্রভাব পড়েছিল নারীমুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে। কেবল ভোগ্য বা সেবাদাসী নয়, স্বতন্ত্র ব্যক্তি মর্যাদা নিয়ে নারীকে সমাজকাঠামোতে জায়গা দিতে তারা প্রয়াসী হয়েছেন। যদিও সে আন্দোলন কতটা সফল ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন নিরন্তর। বিস্তৃত আন্দোলন সত্তে¡ও বিধবাবিবাহ, বহু বিবাহ রোধ ও নারীশিক্ষা সমাজে সেকালে প্রতিষ্ঠা পায়নি। এমনকি স্ত্রীশিক্ষা বৈধব্যের সূচক এ বিশ্বাস উনিশ শতকের বাঙালি হিন্দুর মানসিকতা থেকে উদ্গত হয়েছিল। তবে একটি আন্দোলন সে যুগে হয়েছিল, তার প্রভাব রণদার মতো পরবর্তী শতকের পুরুষের মনেও রেখাপাত করে।

কার্যত এসব চেতনার মূলে ছিল পাশ্চাত্যের রোমান্টিক মনোবৃত্তি। আঠারো কিংবা উনিশ শতকে রোমান্টিসিজম আন্দোলনখানি সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা, ধর্ম, রাজনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতিতে নাড়া দেয়। নিউ ক্লাসিজম আর আনুষ্ঠানিক অর্থডক্সির বাগডোর সহসা ছিন্ন করে। এ রোমান্টিসিজম রুশোর চিন্তা থেকে গঠিত হওয়া শুরু করলেও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সময় পরিস্থিতিতে রূপ পাল্টেছে। তাই ভিক্টর হুগো বলেন, রোমান্টিসিজম ‘সাহিত্যের উদারবাদী’ রূপ নিয়ে বিশেষত, শিল্পী ও লেখকেরা জটমুক্ত হয়ে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে উসকে দেয়; আর তখনি সেটা হয়ে ওঠে বিপ্লবী রাজনৈতিক ধারণার উদ্দীপনা। রাজনীতিতে রোমান্টিসিজম হলো ইউটোপিয়ানিজমের আরেক অধ্যায়। এটা একটি প্রতিক্রিয়া বা বিপ্লব। সমাজকে এমন প্রান্তে ফিরিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখায়, যে প্রান্ত কখনও বাস্তবে দেখা হয়নি। আদতে যে সমাজ কখনও চর্চা করেনি এমন সমাজের স্বপ্ন দেখানো হয় রোমান্টিসিজমে।

হালে কালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়াবিষয়ক পণ্ডিতরা সেকালের আঞ্চলিক ও দেশীয় সাহিত্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। তবে পূর্ব বাংলার সাহিত্যই এখন বেশি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। ড্যান হোয়াইট’র ‘ফ্রম লিটল লন্ডন টু লিটল বেঙ্গল’, ড্যানিয়েল সঞ্জিব রবার্টসের ‘রোমান্টিসিজম’স এমবিগুয়াজ লিগ্যাসি ইন ইন্ডিয়া’, রোসিনকা চৌধুরীর ‘ডিরোজিও, পয়েট অব ইন্ডিয়া’ হলো তার উদাহরণ। হোয়াইট তার গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদের ওপর। তার গবেষণায় সাময়িকীগুলোই এ চেতনা সৃষ্টির মূল কারণ বলে প্রতীয়মান হয়নি, বরঞ্চ মিশনারি শিক্ষা কার্যক্রম ছিল বাংলার নবচেতনায় রোমান্টিসিজমের প্রভাবের প্রধান মাধ্যম। ‘ড্রুমন্ড একাডেমি ইন ক্যালকাটা’ সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রধান উল্লেখ্য। এখানে সব শ্রেণি-বর্ণের শিক্ষার্থী পড়ালেখা করত।

কবি ও রাজনৈতিক কর্মী হেনরি লুইস ভিভেন রোজিওর নাম এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য। তিনি ছিলেন ইংলিশ-পর্তুগাল বংশোদ্ভ‚ত। কলকাতায় বেড়ে ওঠা এ কবি ও রাজনীতিক যোগ দেন ‘ড্রুমন্ড একাডেমি ইন ক্যালকাটায়’। সেখানে তিনি ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক ধারণাদি উম্মোচন করেন। রোমান্টিক লেখক কিট, বাইরন ও শেলির কবিতা তিনি পড়াতে থাকেন। যদিও তিনি ইউরোপিয়ান ছিলেন, তবু তিনি ছিলেন বাংলার অন্যতম প্রথম জাতীয়তাবাদী কবি।

তবে ঠিক ইউরোপের মতো করে রোমান্টিসিজমের ধারণা বাংলায় এসেছিল, তা বলা যাবে না। অদৃষ্টবাদে বিশ্বাসী বাঙালিদের ওপর রোমান্টিসিজমের প্রভাব যেমন দানা বাঁধতে থাকে, তেমনি যুক্তিবাদও মোক্ষ হয়ে ওঠে। ফলে তারা অদৃশ্যে বিশ্বাসের পাশাপাশি ইহমুখী ধারণা লাভ করল। এ ধারাবাহিকতায় নবকৃষ্ণ, গঙ্গাগোবিন্দ, ‘বø্যাক জমিদার’ গোবিন্দরাম মিত্র, রামদুলাল দের মতো ব্যক্তিরা অদৃশ্যে না তাকিয়ে নিজের ভাগ্য নিজে গড়ার তাগিদে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন বাদেই ধনকুবেরে পরিণত হন।

গবেষক, শেয়ার বিজ

mshelleyjuÑgmail.com

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০