অ্যাপলের ১৫০০ কোটি ডলার কর ফাঁকি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের কাছে বাকি থাকা করের এক হাজার ৩০০ কোটি ইউরো বা এক হাজার ৫৩০ কোটি ডলার পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ায় আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। এ কমিশন ২০১৬ সালের আগস্টে অ্যাপলকে অপরিশোধিত কর পরিশোধে আদেশ দিয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ‘অবৈধ রাষ্ট্রীয় সুবিধা’ পাচ্ছে বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়। খবর রয়টার্স।

একই অপরাধে ইউরোপীয় কমিশন লুক্সেমবার্গকে অতিরিক্ত ২৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বলেছে আরেক টেক জায়ান্ট আমাজনকে।

২০১৪ সালে ইউরোপীয় কমিশনের করা মামলায় বলা হয়, আয়ারল্যান্ডে করপোরেট কর হার সাড়ে ১২ শতাংশ, যেখানে অ্যাপল এক শতাংশের কম হারে কর দিয়েছে। ফলে মোট হিসেবে ১৩ বিলিয়ন ইউরো কর বাকি থেকে যায়।

যদিও আয়ারল্যান্ড অ্যাপলের কাছ থেকে এ কর বাবদ অর্থ নিতেও আগ্রহী নয়। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, আয়ারল্যান্ড অ্যাপলকে কর ব্যবস্থাপনায় কোনো সুবিধা দেয়নি। এমনকি রাষ্ট্রীয় সহায়তাও দেওয়া হয়নি।

বুধবার এক বিবৃতিতে ইইউ কম্পিটিশন কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্টেগার বলেন, কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পর, আয়ারল্যান্ড এখনও এ অর্থ পরিশোধ করেনি, আর এটি অংশ হিসেবে নয়। তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা এটি বুঝি যে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এ অর্থ আদায় করা অন্য ক্ষেত্রের চেয়ে বেশি জটিল হতে পারে, আর আমরা সব সময় সহায়তা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত প্রতিযোগিতা পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া।

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আয়ারল্যান্ডকে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ অর্থ আদায় না করা পর্যন্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ সুবিধা পেতে থাকবে।

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক করবিধি এড়িয়ে ২০১৪ সালে অ্যাপলের প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলারের কর ফাঁকির সুবিধা করে দেওয়ায় অভিযোগ আনে ইউরোপিয়ান কমিশন। কর ফাঁকির বিনিময়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে চাকরির ‘নিশ্চয়তা দেওয়া হয়’। তবে আয়ারল্যান্ড এবং অ্যাপল উভয়েই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে যন্ত্রাংশের সমন্বয় করে নতুন আইফোন তৈরির একটি কারখানা স্থাপনে অ্যাপলের চাওয়া ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির শিল্প নীতিমালা ও প্রচারণা বিভাগের শীর্ষ আমলা রামেশ অভিষেক এ কথা বলেন।

আইফোনের যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করার এ কারখানা চালুতে সহায়তা করতে কর ও নীতিমালার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে কিছু পরিবর্তন চেয়েছে অ্যাপল।

ভারতে অ্যাপল বর্তমানে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আইফোন বিক্রি করছে। এবার দেশটিতে নিজস্ব খুচরা বিক্রির দোকান চালুর অনুমতি চাচ্ছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠান অপ্পোকে নিজেদের একক ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রির দোকান খুলতে সামনের দিকে আগাতে সুযোগ দিচ্ছে ভারত। অ্যাপলও একই ধরনের অনুমোদন চাচ্ছে।