শোবিজ ডেস্ক: ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ শুক্রবার থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়া দশ দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজক গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৭ উদযাপন পর্ষদ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছকে আহŸায়ক ও নাট্যজন আকতারুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যের উদযাপন পর্ষদ গঠিত হয়েছে।
গত বুধবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ৬ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক আলী যাকের।
উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক গোলাম কুদ্দুছ।
আয়োজকরা জানান, এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনীক নাট্যদলের প্রয়াত নাট্যজন অমলেশ চক্রবর্তীকে।
এবারের উৎসবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হলে ভারতের তিনটিসহ দুই দেশের মোট ২৯টি নাট্যদলের মঞ্চনাটক এবং উৎসব প্রাঙ্গণের উš§ুক্ত মঞ্চে ৬৩টি সংগঠন আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটক পরিবেশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।
উম্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। ৬ অক্টোবর উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে প্রাচ্যনাটের নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণে মোরের ‘কনডেমড সেল’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে লোকনাট্যদলের (বনানী) ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’।
৭ অক্টোবর থেকে উš§ুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্বটি শুরু হবে। প্রথম দিন এতে অংশ নেবে চন্দ্রকলা, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, ঋষিজ, আনন্দন, নটরাজ ও বহ্নিশিখা। সেদিন সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে ঢাকা থিয়েটারের ‘ধাবমান’, পরীক্ষণ হলে সময় নাট্যদলের ‘যযাতি’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যচক্রের ‘মৃত্যুক্ষুধা’।
এবারের উৎসবে ভারতের দক্ষিণ রুচিরঙ্গ, গণকৃষ্টি ও অনীক নাট্যদল অংশ নিচ্ছে।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘এই উৎসব দুই বাংলার শিল্পী-কলাকুশলীদের পারস্পরিক আত্মার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। আমরা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেবো দুই বাংলার নাট্য-গীত-নৃত্য-অভিনয়শৈলী। আমরা মনে করি, এ উৎসব নতুন নাট্যদর্শক সৃষ্টিতেও ভ‚মিকা রাখবে। এর প্রভাব নাট্যোৎসব-পরবর্তী সময়েও সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাজমান থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান, গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা তানজিম আহমেদ রিজভী প্রমুখ।
Add Comment