মেজবাহ হোসেন: ২০১৫ সালে আমি তখন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। স্নাতকের চার বছর যখন পড়াশোনার অসম্ভব চাপ তখন মনে মনে খুব চাইতাম যে হুটহাট করে ক্যাম্পাসটা যদি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেত তাহলে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতাম, সঙ্গে জমে থাকা কিছু পড়াও গুছিয়ে নেয়া যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্য না সৌভাগ্য জানি না, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের বাইরে একটি ছুটিও পাইনি। মাস্টার্সে এসে হঠাৎ দেখি শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে আর সবার মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা, যার সঙ্গে যেখানেই দেখা হচ্ছে সেখানেই আলাপ জমে তুলছে, শহিদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন ও গরম গরম বক্তৃতা চলছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পদে প্রতিযোগিতার জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলাম তাই বিষয়টাতে একটু গভীর দৃষ্টি রাখি। পত্রিকার খবর, কলাম আর টেলিভিশনের সংবাদ থেকে যা বুঝলাম যে অষ্টম পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল তুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেডে বেঁধে ফেলার ফন্দি লাল ফিতায় বাঁধা পড়ে গেছে। প্রত্যেকটা চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা সময়ের সঙ্গে বাড়ে, বাংলাদেশেও তার ব্যাতিক্রম নয়, কিন্তু শিক্ষকদের সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়া তো দূর কি বাত উল্টো কমছে। এটা অন্যায়, নীতি ও বিবেকবর্জিত অন্যায়। পে-স্কেল রিভাইজ করার সময় একটা রাজনৈতিক সরকার (মানে মন্ত্রিসভা) কিছু মূল মূল বিষয়ে সচিবালয় তথা আমলাদের কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করে, পুরো বিষয়ের বিশদ নিয়মনীতি প্রণয়ন ও যাচাই-বাছায়ের কাজ করে সচিবরা। তাহলে প্রশ্ন যে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তৃতীয় গ্রেডে বেঁধে ফেলার জন্যই কি তবে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল তুলে দিতে চেয়েছিল আমলারা? আমলাদের বিরুদ্ধে এমন নেতিবাচক ধারণা জš§ নেয়া অমূলক নয়, সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার মতো কাজ তারা আগেও বহুবার করেছে আর এখনও করেই যাচ্ছে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরেও আমাদের আমলারা একরকম ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনম্মন্যতায় ভোগে। দেশের ও মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রধানদের সান্নিধ্যে থাকা, তিন সাড়ে তিন হাজার সিসির গাড়িতে চড়া, অফিস থেকে বাসা সবখানে আর্দালি/পিয়নের বন্যা বইয়ে দেয়া এত এত কিছুর পরেও তাদের হাইট ও ওয়েটের কোথায় যেন কমতি! চাকরির গ্রেড ও পদমর্যাদার কারণে মোটামুটি সব পেশাজীবীর ওপরে থাকার পরেও তারা স্বস্তি পায় না। এখন তাদের লক্ষ্য লোয়ার জুডিশিয়ারি, সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাপিয়ে সবার উপরে সুপিরিওরিটি অর্জন করা। এই তিনটি সেক্টরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব কেবলই মনস্তাত্ত্বিক; লোয়ার জুডিশিয়ারির সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব তারা বিচারিক ক্ষমতা চায় (এবারের ডিসি সম্মেলনে তারা এই কথা বলেছে), সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব উপরের দুটি পদ মেজর জেনারেল ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়ে (অবশেষে একটি দুর্বল সরকারের মাথায় হাত বুলিয়ে সেই জেদ আদায় করেছে সুপার গ্রেড সৃষ্টি করে), আর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব খুব সম্ভবত ১০ বছর চাকরি করেই এখানে সর্বোচ্চ ধাপ অধ্যাপক (৩য় গ্রেড ও পর্যায়ক্রমে ২য় থেকে ১ম গ্রেড) হওয়া যায়। আমলারা বিভিন্ন কায়দা কানুন করে জুডিশিয়ারি ও সেনাবাহিনীর বিপরীতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপেক্ষে এখনও তারা অস্বস্তিতে ভুগছে, আর তাই শিক্ষকদের গ্রেড অবনমনের কুবুদ্ধি, বিতর্কিত অভিন্ন নিয়োগ/পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন আর সবশেষে সর্বজনীন পেনশনের মতো একটা অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য সিস্টেমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি করার অপ্রয়াস। তাছাড়া সর্বজনীন পেনশন যদি সত্যিই চলমান পেনশনের থেকে অধিক লাভজনক হতো তাহলে আমলারা সেখানে সবার আগে না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পাঠাবে এমন কথা তো পাগলেও বিশ্বাস করবে না। অন্যদিকে সেনাবাহিনীও তো একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তবে তারাও সর্বজনীন পেনশনে নয় কেন?
একবার ভাবুন যে ডিগ্রি কলেজ থেকে পাস করে যিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করবেন তিনি সরকারি পেনশন ভোগ করবেন, যিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করে হাইস্কুল বা কলেজে শিক্ষকতা করবেন অবসরের পর তার দায়িত্বও সরকার নেবে কিন্তু যিনি অনেক উচ্চ জিপিএ অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন, বিদেশে পিএইচডি করবেন, গবেষণা করবেন তার দায়িত্ব সরকার নেবে না! বিসিএস ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেখলেই হাত মুখ ধুয়ে একটা আলাপ শুরু করে যে, তারা ১২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে এখানে এসেছে, কিন্তু ওরা ভুলেই যায় যে অমন ১০০০-১২০০ নম্বরের পরীক্ষায় শুধু একবার না, ৪-৫ বার ভালো ফলাফল করে তবেই একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়। ওদের এই যুক্তি কিন্তু উচ্চ আদালতের নিয়োগের সময় দেখা যায় না। বরং একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি বলি যেহেতু তোমাদের আবেদনের যোগ্যতা খুবই কম থাকে (একটি তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য) তাই তোমাদের পুনরায় এ টু জেড যাচায় করার প্রয়োজন আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু মাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সব পর্যায়েই অনেক ভালো রেজাল্ট চাওয়া হয়, তাই ওখানে পুনরায় এ টু জেড যাচায় করার প্রয়োজন হয় না।
একটি রাষ্ট্রে আমলাদের ভূমিকা ঠিক মানব দেহে ধমনী ও শিরার অনুরূপ, ধমনী ও শিরা যেভাবে হƒৎপিণ্ড থেকে কোষে আর কোষ থেকে পুনরায় হƒদপিণ্ডে রক্ত পরিবহণের কাজ করে আমলারা ঠিক সেভাবে ক্যাবিনেট ও মাঠের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে। সেনাবাহিনীর পদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি নীতিমালা এসব কিছুই পুরো পৃথিবীতে প্রচলিত নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের দেশে বিদ্যমান। তাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই সুপিরিয়র, সব ক্ষেত্রেই কারও এককভাবে সর্বেসর্বা হওয়ার সুযোগ নেই। ২০০৯ পূর্ববর্তী বাংলাদেশে সব থেকে সফল দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু ২০০৯ এর পরে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অধিকতরভাবে পালন করতে পেরেছে বললে ভুল হবে না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় বলতে প্রবীণ ও প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়কে বোঝানো হয়েছে। কারণ নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সফলতা নিরূপণের সময় এখনও আসেনি। আমলাদের মধ্যে কতজন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা বা ইতিহাস পড়ানোর সক্ষমতা রাখে? ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, নিউক্লিয়ার সায়েন্স বা অর্থনীতির কথা বাদই দিলাম। এরপরেও বাংলাদেশের আমলাদের সর্বময় ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভের উদর ভর্তি ক্ষুধা দেখে একথা বলাই যায় যে তারা না বোঝে রাষ্ট্র না বোঝে আমলাতন্ত্র, কেবলই শুধু পাই আর খাই।
বিশ্ববিদ্যালয়কে অহেতুক হয়রানিমূলক নাড়াচাড়া করার সাহস যে আমলারা এমনি এমনি পায় বিষয়টা আমার কাছে সেরকম মনে হয় না, শিক্ষকরাও আমলাদের এহেন সাহস জোগানে কিয়দংশ ভূমিকা রাখে বৈকি। এপর্যায়ে আমার সহকর্মীরা আমার ওপরে কিছুটা বিরক্ত হবেন বটে কিন্তু বিড়ালের গলায় আজকে ঘণ্টাটা বাঁধতেই হবে। প্রত্যেকটা পেশার একটা আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য থাকে যেমন বিচারকরা পাবলিক প্লেসে যান না, কম কথা বলেন, নিজস্ব পরিবহণে চলাফেরা করেন; সেনাবাহিনীর পোশাক আর রগরগে চেহারাই যথেষ্ট তাদের জাত চিনিয়ে দিতে; প্রশাসনের লোকদের বেশভূষা দারুণ পরিপাটি ও অভিজাত কায়দার হয়ে থাকে কিন্তু ঢাবি আর বুয়েটের বারান্দা অতিক্রম করলেই শিক্ষকদের আভিজাত্য ও গাম্ভীর্যকে কোটি কোটি বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ডাইনোসরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। কোনো প্রশিক্ষণ না থাকা, আচরণে ব্যাপক আঞ্চলিকতা, যাচ্ছে তাই মানের পোশাক পরিধান, একই পোশাকে বছরের পর বছর পার করে দেয়া, পাবলিক প্লেসে অতিমাত্রায় সামাজিকীকরণ প্রভৃতি বিষয় শিক্ষকদের হালকাভাবে নেয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করে। পারস্যের বিখ্যাত কবি শেখ সাদিকে আজ থেকে বহুবছর আগেই যেখানে পোশাক ছাড়া মূল্যায়ন করা হয়নি, সেখানে আজকের এই ঝাঁ চকচকে স্মার্ট পৃথিবীতে অন্য কেউ আপনাকে ঠিক কী কারণে সমীহ করবে যখন আপনার হাতে না আছে অস্ত্র, না আছে ফরমান জারির ক্ষমতা, না আছে একটা আকর্ষণীয় দৃশ্যমান ব্যক্তিত্ব। পেরিফেরির একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেখেছি একজন প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কত লেইম ভাবে একটা চপ্পল, কাঁটা কাপড়ের প্যান্ট আর মানহীন গোল গলা গেঞ্জি পরে মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর এলোমেলো চুলে বিভাগে ক্লাস নিতে আসতো! ঢাবি বা বুয়েটের একজন শিক্ষার্থী এর থেকে বহুগুণ ভালো মানের বেশভূষা নিয়ে সন্ধ্যা বিকালে টিউশন করাতে যায়। এসব কারণেই আপনি যখন লাল গোলাপি মার্কা একটা পাঞ্জাবি পরে খোশ মেজাজে ডিসি অফিসে যান তখন ডিসি আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করার পরিবর্তে সে চায় আপনি তাকে স্যার সম্বোধন করুন, সুতরাং বডি ল্যাংগুয়েজ ইজ দ্যা ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজ।
আমার দৃঢ়বিশ্বাস ২০১৫ সালের মতো এবারও শিক্ষকরা এই রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হবে। তবে মুক্ত হয়ে চুপচাপ বসে পড়লে হবে না। এবার একটু নিজেদেরকেই হোম ওয়ার্ক করতে হবে, শিক্ষকতা পেশা ও শিক্ষকদের মাঝে কিসের কমতি আছে, কীভাবে সেগুলোর উন্নতি করা যায়, কীভাবে অপরাপর পেশার সঙ্গে নিজেদের মর্যাদা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে চলা যায়। এই লক্ষ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো বিবেচনা আশু জরুরি :
১. শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। কাজটি ইউজিসির মাধ্যমে করতে পারলে সব থেকে ভালো হতো, কিন্তু এটি কতটুকু বাস্তবসম্মত বা বিকল্প কি থাকতে পারে সেটি খতিয়ে দেখা। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার নতুন যোগদানকৃত প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকদের প্রশিক্ষণ দেবে। সেখানে শিখন পদ্ধতি, চাকরির পদ ও সামাজিক মর্যাদা, বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের মূল পার্থক্য, ডেকোরাম মেনে চলা, ব্যবহারে আঞ্চলিকতা দূর করা, গাম্ভীর্যপূর্ণ পোশাক পরিধান, অপরাপর পেশা যেমন সেনাবাহিনী, প্রশাসন, পুলিশ, বিচারক সম্পর্কে মৌলিক ধারণা প্রদান ও গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা, অর্ডার অব প্রিসিডেন্স প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞান শিক্ষকদের অনেক পারদর্শী করে তুলবে, এর ফলে তাদের চিন্তার ক্ষেত্র যেমন প্রসারিত হবে তেমনি বিভিন্ন বিষয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্লেষণ দেয়ার সক্ষমতাও অর্জিত হবে।
২. পুলিশ, প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদ আপগ্রেডেশন ও আর্থিক সুবিধা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি ঘটেছে গেল ১০-১২ বছরে, কিন্তু বিপরীতে শিক্ষকদের কোনো পদ আপগ্রেডেশন হয়নি, নতুন কোনো আর্থিক সুবিধাও যুক্ত হয়নি। এক্ষেত্রে প্রভাষক পদের আপগ্রেডেশনের দাবি জোরালোভাবে সামনে আনতে হবে। অন্য যেকোনো পর্যায়ের প্রভাষকদের (বা অন্য চাকরিপ্রত্যাশীর) চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষকদের জন্য যেহেতু অনেক বেশি যোগ্যতা চাওয়া হয়, তাই এই পদটি ৭ম গ্রেডে সিনিয়র লেকচারার হওয়া খুবই যুক্তিযুক্ত।
৩. সহযোগী অধ্যাপক (গ্রেড-৪) পদ থেকে শুরু করে শিক্ষকদের গাড়ি সুবিধা প্রদান। এই লক্ষ্যে ২৫ লাখ টাকা স্বল্প সুদে ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ মাসিক ২৫ হাজার টাকা ভাতার দাবি শিক্ষকদেরকেই জোর দিয়ে চাইতে হবে।
৪. প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ফেলোশিপে শিক্ষকদের অনুপাত বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. বিকাল ও সন্ধ্যায় শিক্ষকদের ক্লাবমুখী কার্যক্রম বাড়াতে হবে এবং শরীর চর্চায় আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন যৌথভাবে উদ্যোগী ও তৎপর হলে শিক্ষকতা পেশার প্রতি অন্যদের বদনজর প্রতিহত করে এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা সম্ভব হবে।
শিক্ষক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিএইচডি ফেলো
কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র