নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে চার পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ৯ মাসে শেয়ার ইপিএস হয়েছে দুই টাকা দুই পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৭৯ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা। ওইদিন এক কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ৮২ হাজার ৭৭৩টি শেয়ার মোট ৬২০ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫০ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত দুই হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি যথাক্রমে ১০ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৯ টাকা ৫৫ পয়সা। দুবছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১২ অক্টোবর বেলা ১১টায় ও সাড়ে ১১টায় চিটাগং বোট ক্লাব, এয়ারপোর্ট রোড, ইস্ট পতেঙ্গা, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৪২ টাকা ৫৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৯ পয়সা ও ৪০ টাকা ২৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৫ দশমিক ৯৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৪ দশমিক ৯২।
কোম্পানিটির ১২ কোটি পাঁচ লাখ সাত হাজার ৯০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
Add Comment