নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। অনুমোদিত বোনাস শেয়ারের জন্য আগামী ২৮ মে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাড়িয়েছে ২০ টাকা ২০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরেও ব্যাংকটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৭২ পয়সা (ঘাটতি)।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির তিন হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১০৮ কোটি ৮৫ লাখ ৬২ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বাকি ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে সম্প্রতি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১৫ মে পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।