আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ ডলার। এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ ডলার। সুপারিশকৃত দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এর বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।’

এছাড়া স্থানীয়ভাবে উš§ুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি দশ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে কমিটি।

সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘সরকার ১ কোটি পরিবারকে যে সাপোর্ট দিচ্ছে তার আওতায় এক কোটি দশ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে। প্রতি লিটারের দাম ১৫২.৪৫ টাকা। এর পূর্বমূল্য ছিল ১৫২.৯৮ টাকা। এই তেলের মোট ক্রয় মূল্য হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।’

তিনি জানান, এর সুপারিশকৃত দরদাতা সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড। এটা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা হচ্ছে এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল কেনার দুটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ১১ কেভির ৫৭.৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৮১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৯ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা জোনাথন টেকনোলজি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড চায়না।

অন্যদিকে, একই বিভাগের প্রস্তাবে ৩৩ কেভি ৮৩ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ টাকা। এটির সুপারিশকৃত দরদাতা বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রকল্প ‘আশ্রয়ণ-২’-এর আওতায় পঞ্চম ধাপে আরও ২০ হাজার গৃহ ও ভূমিহীন মানুষ ঘর পাচ্ছেন। আগামী জুনেই তাদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। এই ঘর বরাদ্দ দেয়ার যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে, তার ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে সম্পন্ন করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘মননীয় প্রধামন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৫২০ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পঞ্চম পর্যায়ের অবশিষ্ট অংশ আরও ২০ হাজার ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। ঘরগুলো ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এখন ফরমাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। এই অনুষ্ঠানের কাজগুলো সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পন্ন করার জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।’

কবে নাগাদ এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে সামারি দেয়া হয়েছে সম্ভাব্য জুন মাস। এখনও তারিখ নির্ধারিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সুবিধামতো সময় দেবেন।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০