নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দুই কোটি ৭ লাখের বেশি ভোটারের মধ্যে ৭৫ লাখের বেশি ভোটার এ ধাপে ভোট দিয়েছেন। সে হিসাবে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদরে।
এ ধাপের ৮৭ উপজেলায় ভোট হয় গত বুধবার। কিছু উপজেলায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়াও পাল্টাপাল্টি কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তবে বড় কোনো গোলযোগ না হওয়ায় সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন।
ভোটের পরিবেশকে ‘শান্তিপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার বলেছিলেন, ‘নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে। উপস্থিতির যে তথ্য পেয়েছি, সেটা ৩৫ শতাংশের কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে।’
রেমালের কারণে ২২ উপজেলার ভোটও স্থগিত করা হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি কম পড়ার শঙ্কাও ছিল। ভোট কম পড়ার ধারাবাহিকতায় দুই ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে গত ৮ মে ১৩৯ উপজেলা প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ শতাংশ। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা নির্বাচন ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। এবার উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি গত তিনটি নির্বাচনের চেয়েও কম।
এর আগে ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬০ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে। এরপর ৯ জুন রেমালে আটকে যাওয়া ২০ উপজেলার ভোটের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন শেষে হবে।