চসিকে বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল দাবিতে ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়ন করে ২৫তম সাধারণ সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত আগস্টে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিস, রাজস্ব বিভাগ ও ওয়ার্ড অফিসসহ জনসম্মুখে সেটি প্রকাশ করে চসিক। চসিক নির্ধারিত অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করার দাবিতে এক বছর ধরে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার চার দফা দাবিতে দশটি ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও করা হয়।

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র সৈয়দ মো. হাসান মারুফ জানান, তারা দশটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর মিছিল নিয়ে আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থান নেওয়ার পর দেওয়ানহাট এলাকায় গিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হয়। পরবর্তী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজশেষে এই দশটি ওয়ার্ডে মিছিল করা হবে এবং তার দুই দিন পর অন্য আরও দশটি ওয়ার্ড ঘেরাও করা হবে।

এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা জানান, কর নির্ধারণ বা অ্যাসেসমেন্ট একটি আইনি প্রক্রিয়া। এ আইনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর পরপর অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। অ্যাসেসমেন্ট করার পর কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করতে পারবেন। এখন আপিল পর্যায়ে চলছে। এর পর আপিল শুনানি হবে। শুনানির পর কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, বেশি বা কম হয়েছে, অথবা কোথাও অনিয়ম হয়েছে, তখন ব্যবস্থা নেবে। এর পরও যদি কারও সমস্যা থাকে, তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে আপিল করতে পারবেন। তারপরও যদি না হয়, তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারেন।

এর আগে আমাদের নির্ধারিত এক মাস সময় গত ৩ তারিখে শেষ হয়েছে। এখানে দেখা গেছে, এক লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে আপিল জমা পড়েছে ৩২ হাজার ৭৯৬টি। অবশিষ্ট এক লাখ ৫২ হাজার ৮৫২টি এখনও আপিল দায়ের করতে পারেনি। সেজন্য বাকি করদাতাকে আপত্তি দায়েরের সুযোগের জন্য আরও তিন মাস সময় বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও সিটি করপোরেশন শাখা-২-এর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০