শেয়ার বিজ ডেস্ক : অবৈধ অর্থ লেনদেন রুখতে সম্প্রতি প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় গহনা বেচাকেনায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ভারত। আইন অনুযায়ী ৫০ হাজারের বেশি রুপির গহনা কেনা সন্দেহজনক মনে হলে তা জানানোর দায় বিক্রেতার। কিন্তু নতুন আইন কার্যকরের ফলে গহনার চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং আসছে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে এ শর্ত শিথিল করেছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্স।
শুক্রবার গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সের (জিএসটি) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, ৫০ হাজার রুপির বেশি গহনা কেনা সন্দেহজনক মনে হলে তার দায় ব্যবসায়ীদের থাকছে না। তবে বহাল থাকছে দুই লাখ রুপির বেশি গহনা কেনার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের অনুলিপি জমা দেওয়ার নিয়ম।
প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় কেউ ৫০ হাজার রুপি বা তার বেশি মূল্যের গহনা কিনতে গেলেই দিতে হতো আধার কার্ডের অনুলিপি। কার্ডে থাকা নাম-ঠিকানা বিক্রেতাকে বিলে উল্লেখও করতে হবে।
কালোটাকার লেনদেন বন্ধে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি সরকার। এ উদ্যোগ নিতে গিয়ে ভারত সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি নোট বাতিল করে নতুন নোটও ছেড়েছে বাজারে। ব্যাংকে বড় লেনদেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মতো আরও কয়েকটি খাতে বাধ্য করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র বা আধার কার্ড।
সেই ধারাবাহিকতায় স্বর্ণের গহনা কিনতেও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে নতুন এ নিয়মে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাদের বক্তব্য বর্তমানে বাজারে ৫০ হাজার রুপির গহনা আর কতটুকু? তা কিনতেও যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সাধারণ ক্রেতাই হয়তো মুখ ফিরিয়ে নেবেন। মার খাবে স্বর্ণশিল্প।
‘স্বর্ণশিল্প বাঁচাও’ কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, গহনা কিনলে তাতে তার মজুরি এবং তিন শতাংশ জিএসটি মিলিয়ে ক্রেতাকে প্রায় ২০ শতাংশ রুপি বাড়তি দিতে হয়। এটি ওই গহনা বিক্রির সময় আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই গহনায় লগ্নি করার পথে সাধারণত কালোটাকার মালিকরা হাঁটেন না বলেই আমাদের ধারণা।
তিনি বলেন, এমনিতেই গহনার বাজারে এখন চাহিদা কম। তার ওপর নতুন এ নিয়ম অন্তত সাময়িকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছিল। তাই কেন্দ্রের ঘোষণায় অন্তত স্বস্তি পেল স্বর্ণশিল্প।
Add Comment