রফিক মজিদ, শেরপুর : প্রয়াত অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানার মরদেহ নেয়া হচ্ছে নিজ বাড়ি শেরপুরের নকলায়। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন অভিনেত্রী। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের গুণী অভিনেত্রী সীমানা।
মৃত্যুকালে সীমানা স্বামী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। সীমানার বাড়ী নকলা পৌরসভাধীন কায়দা বাজারদী এলাকায়। তার বাবা সেকান্দার আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সীমানা সবার বড় ছিলেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় নকলার কায়দা বাজারদী গোরস্তান মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত ২১ মে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আট দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সীমানা। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ মে এই অভিনেত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এই অভিনেত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেন্টিলেশনে শেষ চেষ্টা হিসেবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু আর ফেরা হলো না সীমানার।
উল্লেখ্য, নকলা ললিতকলা একাডেমি, খেলাঘর, কোর্টফিল্ড, কমল ওস্তাদজী ও শিল্পকলায় তিনি অভিনয়চর্চা করতেন। এরপর বিটিভিতে কাজ করা শুরু করেন। তারপর ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা।
এর পর থেকে তিনি নাটক ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তার প্রথম সিনেমা। ‘রোশনী’ নামের একটি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।