নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গৃহায়ন লিমিটেডে ?২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা বা মোট ইক্যুইটির ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ করবে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। যেখানে গৃহায়ন লিমিটেড ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে, মাটি পরীক্ষা ও আধুনিক ডিজিটাল মাটি পরীক্ষার ল্যাবরেটরি, সব ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা ও পরামর্শ এবং সব ধরনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-সংক্রান্ত ব্যবসা করবে গৃহায়ন লিমিটেড।
উল্লেখ্য, সাইফ পাওয়ারটেক ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানির ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৯১২টি শেয়ার মোট ৪৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৩ পয়সা।
২০২২-২৩ হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৩১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৬৫ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৮ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৭ পয়সা ছিল।