শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফ্রান্স, স্পেন, গ্রিসসহ ইউরোপের ১৩টি দেশে বিশেষজ্ঞরা মশার এমন প্রজাতি শনাক্ত করেছেন, যেগুলো ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের মতো রোগের বিস্তারের জন্য দায়ী। মশার এই প্রজাতিটি ‘এডিস অ্যালবোপিক্টাস বা এশিয়ান টাইগার মসকিউটোস’ নামে পরিচিত। খবর: বিবিসি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ায় মশার এই প্রজাতিটি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানায় ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি)।
আগামী মাসের শেষ দিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক গেমস শুরু হতে চলেছে। তখন সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মানুষ প্যারিসে আসবেন। সে সময়ে ইউরোপজুড়ে আরও দ্রুত মশার বিস্তার ঘটার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইসিডিসি। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় মশার বিস্তারের ওপর নজর রাখছে এবং সেগুলো ধরে পরীক্ষা করা শুরু করেছে।
তারা স্থানীয় লোকজনের বাগান ও বারান্দায় পানি জমতে না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এ ধরনের মশা বংশবিস্তার করে।
দুই দশক ধরে ইউরোপে বড় হুমকিতে পরিণত হচ্ছে মশা। বিশেষ করে বিশ্বে মশার সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রজাতি এডিস অ্যালবোপিকটাস দক্ষিণ ইউরোপ থেকে এখন পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে।
ইসিডিসি জানায়, সম্প্রতি অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইতালি, মাল্টা, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সেøাভানিয়া ও স্পেনে এরই মধ্যে এডিস মশা শনাক্ত হয়েছে। বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, নেদারল্যান্ডস ও সেøাভাকিয়ায় অতীতে এডিস মশা শনাক্ত হয়েছিল।
গত কয়েক বছরে ইউরোপে ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার দেখা গেছে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের মতো রোগের বিস্তার ঘটায়। এই রোগগুলো সাধারণত এশিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকার দেশগুলোয় দেখা যায়।
মানুষের শরীরে ডেঙ্গুর উপসর্গ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। এটি এতটাই মারাত্মক যে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।