শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশের ১৮ লাখ মানুষের সংকট নিঃসরণ ও পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নিতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ। বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পিতবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
অক্সফ্যামের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ পানিসংক্রান্ত দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো বিপর্যয়কে প্রভাবিত করছে। এ মুহূর্তে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪৬ জেলার কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে; যা এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০১৭ সাল থেকে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলো শত শত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে; যা দেশের শরণার্থী সংকটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দিচ্ছে অক্সফ্যাম।
অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উšে§াচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে। একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত, ধনী দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।’
পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করছে অক্সফ্যাম। দামলে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সবাইকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’