নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর পরিবর্তে সভাটি ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। অনিবার্য কারণবশত এজিএমের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ব্যাংকটি বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি। বন্ডটি হবে ব্যাংকের ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এটি হবে অরূপান্তরযোগ্য। এর মেয়াদ হবে ৭ বছর। মেয়াদ শেষে এই বন্ডের সম্পূর্ণ অবসায়ন ঘটবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটেগরির এ ব্যাংকটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৯৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৩৭ পয়সা।
এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এক্সিম ব্যাংক। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ১০ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৭২ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩০ পয়সা।