প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৪ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৯১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় তিন পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৬৪ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৪ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৪ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৭১ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৪১ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ জুলাই।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এই কোম্পানিটির বর্তমানে রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে ৪৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮৪ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ফার্স্ট ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরেরও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল চার টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল চার টাকা ২৩ পয়সা। এছাড়া তখন এনওসিএফপিএস হয়েছিল এক টাকা ৮১ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০