শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ফির পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করেছে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল সোমবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর: রয়টার্স।
অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে আবাসন ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ার প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলীয় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চাইলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি বাবদ এক হাজার ৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার (এক হাজার ৬৮ ডলার) দিতে হবে। আগে এ ফির পরিমাণ ছিল ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলার।
একই সঙ্গে টেম্পরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসাধারী শিক্ষার্থী ও ভিজিটর ভিসাধারীদের যারা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে, তারা সেখান থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল বলেন, যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা আজ (গতকাল) থেকে কার্যকর হচ্ছে। এ পরিবর্তন আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে। এর মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ন্যায্য, আকারে ছোট এবং অপেক্ষাকৃত ভালো একটি অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা যাবে।
মূলত ২০২২ সালে মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীদের চাপ বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় অভিবাসীদের চাপ কমাতে গত বছর থেকে শিক্ষার্থী ভিসার ওপর বিভিন্ন ধরনের কড়াকড়ি আরোপ শুরু করে সরকার।
গত মার্চে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক নথিতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক অভিবাসনের প্রকৃত হার ৬০ শতাংশ বেড়ে পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জন হয়েছে।
ভিসা ফি বাড়ানোর কারণে এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করাটা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রায় ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং কানাডায় আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ কানাডীয় ডলার খরচ করতে হবে।
তবে ভিসা-সংক্রান্ত বিধিগুলোর ফাঁকফোকরের সুযোগে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় তাদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে থাকে। অস্ট্রেলীয় সরকার বলেছে, ভিসা বিধির ফাঁকগুলোও তারা
বন্ধ করছে।
গত মার্চ মাসে ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতে জোর দেয় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া গত মে মাস থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ সঞ্চয়ের পরিমাণ (ব্যাংক ব্যালান্স) আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় দেশটি।