শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত প্রকল্পে ব্রিটিশ সরকার এরই মধ্যে ৩২ কোটি পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে। আগামীকালের সাধারণ নির্বাচনে সুনাকের দল হেরে গেলে এর পুরোটাই মাটি হতে পারে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
এই অর্থ খরচ করা হয়েছে রুয়ান্ডার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য। এর মধ্যে অভিবাসী স্থানান্তর প্রকল্পের অর্থও রয়েছে। কিন্তু সুনাকের প্রতিদ্ব›দ্বী লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে নীতিটি বাতিল করবে।
নির্বাচিত হলে এই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে একটি নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ড প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে লেবার পার্টি। এর সাহায্যে ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হতে আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তা দেয়া মানবপাচার চক্রকে ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
লেবার পার্টির অভিবাসন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী স্টিফেন কিনোক বলেছেন, ঋষি সুনাকের রুয়ান্ডা নীতি ইতিহাসের সবচেয়ে অযৌক্তিক এবং অপচয় করা স্বরাষ্ট্র নীতিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। এটি ব্রিটিশ করদাতাদের জন্য অপমানজনক। এই পরিকল্পনায় জড়িত অল্পসংখ্যক মানুষের কর্মকাণ্ডে চ্যানেল অতিক্রমকারীদের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। তবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, নির্বাচনে তারা জয়ী হলে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে রুয়ান্ডার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইটটি উড়াল দেবে আগামী ২৪ জুলাই।
গত ফেব্রæয়ারিতে প্রকাশিত ন্যাশনাল অডিট অফিসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এপ্রিলের মধ্যেই রুয়ান্ডার অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য এই বিপুল অর্থ দেয়া হয়েছে। এই অর্থের পুরোটাই অফেরতযোগ্য। পরিকল্পনা বাতিল হলে আরও কিছু খাতের অর্থও ক্ষতির খাতায় যোগ হবে। এর মধ্যে রয়েছে রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আইনি ফি, প্রকল্পে কর্মরত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনবলের পেছনে ব্যয়।
গ্রেপ্তার ও আটক আশ্রয়প্রার্থীদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেআইনিভাবে আটকের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন। তাদের জামিন শুনানির জন্যেও সরকারের বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে।