জাবিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ

প্রতিনিধি, জাবি: দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সংহতি সমাবেশে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রববানী এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান সমাবেশে যোগদান করেন।

বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব আমাদের একটাই দাবি কোটা সংস্কার করে বৈষম্য দূর করা হোক। যারা পরিশ্রম ছাড়া আমলাতন্ত্রে যাচ্ছে, তারা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না। তাই সারা বাংলায় মেধার ভিত্তিতে আমলাতান্ত্র গড়ে তুলতে কোটা সংস্কার করা হোক।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রববানী বলেন আপনাদের আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছে আপনারই সেই ৫২, ৭১,৯১ এর উত্তরসরী। আপনাদের দারাই পরিবর্তন সম্ভব। কোটা প্রথার মধ্যে দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। পুরো জাতির মেধাকে নষ্ট করা হচ্ছে। একদিকে তারা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছে, আরেকদিকে শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করছে। এইবসরকারের শিক্ষা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তাই অনতিবিলম্বে এই কোটা সংস্কার করা প্রয়োজন।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, আজ এক বিশেষ পরিস্থিতি তে আমাদের এখানে দাড়াতে হয়েছে। যৌক্তিক আন্দোলন হিসেবে তাদের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করছি। মুক্তিযুদ্ধের জন্য রাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিবেই। তবে তা বৈষম্য সৃষ্টি না করে সমতার ভিত্তিতে। সমতা প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জাতির পিতা আমাদের জন্য যে শিক্ষা ব্যাবস্থা রেখে গেছিলেন তা এই রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্যই। এজন্য বর্তমানে এই অসমতা গ্রহণযোগ্য নয়।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যে দাবি জানানো হয়েছে তা যৌক্তিক। আপনারা জানেন ৬২ হাজার ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের কথা ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে । তাদের উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরি লাভ। তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতেই এই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা চাই সমতার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য কোটা পদ্ধতি চালু করা হোক। ২০১৮ সালে তারা সমস্যার সমাধান না করে এই সমস্যার সৃষ্টি করছে। তারা কৌশলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে । ৬২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গোষ্ঠী এই সুযোগ নিচ্ছে। আদালতের ঘারে বন্দুক রেখে এগুলো করা হচ্ছে। এজন্য মেধাভিত্তিক বৈষম্য মুক্ত একটা আমলাতন্ত্র তৈরি করা উচিত।

উল্লেখ্য, ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০