নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিবার্য কারণে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংক পিএলসি। গত ২৩ জুলাই ব্যাংকটির ইজিএম ও এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সভার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাধারণ শেয়ার ইস্যুতে ইজিএম আহ্বান করেছিল রূপালী ব্যাংক। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাংকটি ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পায়। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর এই হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১০ টাকা ৩২ পয়সা। উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।
এর আগের বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। আর এই হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৬ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি)। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের ত তুলনায় ১১ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ০৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ টাকা ২৩ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৩৭ পয়সা (ঘাটতি)।
ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৮৭ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৫। এর মধ্যে ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ সরকারের কাছে, ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।