ব্যাংক-পুঁজিবাজারে নতুন সময়সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি-বেসরকারি অফিস আগামী তিন দিন (রোববার থেকে মঙ্গলবার) ছয় ঘণ্টা করে চলবে। এই তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে। গতকাল শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। এর আগে গত বুধ ও বৃহষ্পতিবার চার ঘণ্টা করে চলে অফিস। নতুন অফিস সূচিতে কর্মঘণ্টা বাড়ানোর পর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারেও নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই তিন দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। লেনদেন চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, এর পর আরও দুই ঘণ্টা চলে অন্যান্য কার্যক্রম।

এর আগে কারফিউ ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা তিন দিন বন্ধের পর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলে। এসব শাখায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে কিছু সেবা দেয়া হয়। বুধবার ব্যাংকের ৫০ শতাংশ শাখা ও বৃহস্পতিবার ৭৫ শতাংশ শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছিল। তবে বাস্তবে প্রায় সব শাখা খোলা ছিল। এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে স্বাভাবিক লেনদেন হবে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত; পরের ১০ মিনিট থাকবে পোস্ট ক্লোজিং সেশন। স্বাভাবিক সময়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন চলে ২টা ২০ মিনিট অবধি, বাকি ১০ মিনিট থাকে পোস্ট ক্লোজিং সেশন।

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউর সময়সীমা শিথিল করছে সরকার। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে। কারফিউ জারি হওয়ায় গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কারফিউ শিথিল হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোও খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস চলছে না।

ছুটির অন্যান্য শর্তগুলো আগের মতোই থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। অর্থাৎ জরুরি পরিষেবা, যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সারাদেশে আরও ৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ৬৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট চার হাজার ৯১০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।


চলতি বছরের ২৭ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ শতাংশ নারী রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে, চলতি বছরের এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৩ জন। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০