নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনব্যাপী ৬৬ হাজার ৯৬১ শেয়ার ৪৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ২০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫১ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০২৩-২৪ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) ঢাকা ডায়িংয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৩০ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৩৫ পয়সা।
এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু মিউচুয়াল ফান্ডের ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, একমি পেস্টিসাইডসের ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৯ দশমিক ০৭ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ২৯ দশমিক ০৪ শতাংশ, এসিআই লিমিটেডের ২৯ দশমিক ০৩ এবং একমি ল্যাবরেটরিজের ২৯ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
