শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাস্ট্রে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে এক গোলটেবিল বৈঠকে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নীতিগুলো নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন হ্যারিসের শীর্ষ নীতি উপদেষ্টা ব্রায়ান নেলসন। খবর: রয়টার্স।
৪৫ মিনিটের ওই ইভেন্টে অনেকবার ইরানের পারমাণবিক চুক্তি হ্যারিস আবার চালু করবেন কি না, বর্ধিত শিশু ট্যাক্স ক্রেডিট তিনি কীভাবে দেবেন এবং বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের প্রথম স্থানীয় ক্রেতাদেরকে তিনি কীভাবে সহায়তা করবেন- এই প্রশ্নগুলো নেলসনকে করা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি একই উত্তর দিয়েছেন।
প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে এ ধরণের প্রশ্নের উত্তরে নেলসন বলেন, আমি ভাইস প্রেসিডেন্টের আগে কোন মন্তব্য করছি না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের মনোনয়ন গ্রহণের সময় হ্যারিস তার বেশকিছু শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি তুলে ধরেন। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও ইযরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থনের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকেও তিনি তার পররাষ্ট্রনীতিতে সমর্থন করেছেন। আবাসন খাতে মধ্যম মাত্রায় কর ছাড়ের মাধ্যমে এই খাতে ঘাটতি শেষ করা ও দক্ষিণ সীমান্ত নিরাপদ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন হ্যারিস।
তার বক্তৃতায় ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকদেরকে উৎসাহিত করলেও বিশদ বিবরণের চেয়ে নীতিমালা হিসেবেই দেখা হয়েছে তার পররাষ্ট্রনীতিকে। মাত্র এক মাস আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া হ্যারিস বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য খুব বেশি সময় পাননি।
কোন কোন ক্ষেত্রে বাইডেনে ও তার গৃহীত নীতির মধ্যে ভিন্নতা থাকবে সে সম্পর্কে হ্যারিস বা তার সহযোগীরা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। জ্বালানি নীতি সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষেত্রগুলোতে তাদের অস্পষ্ট পদক্ষেপকে কৌশলগত হিসেবে অভিহিত করেছেন হ্যারিস সহযোগীরা। হ্যারিসের ক্যাম্পেইনের একজন কর্মী বলেছেন, হ্যারিস তার নীতিগুলো উপস্থাপন করার পর ভোটারদের হাতেই বাকিটা ছেড়ে দেবেন।
কমলা নিজেকে একজন সাধারণ আমেরিকান হিসেবে তুলে ধরেন, যিনি এক শ্রমজীবী অভিবাসী পরিবারে জন্ম নিয়ে শুধু কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে এত দূর হেঁটে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন আমেরিকান।
ক্যালিফোর্নিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে বিচারকের সামনে সওয়াল-জবাব শুরুর সময় আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বলতাম, কমলা হ্যারিস জনগণের পক্ষে হাজির। বস্তুত আমার পেশাদারি জীবনে আমি বরাবর জনগণের পক্ষেই লড়াই করে এসেছি।