শেয়ার বিজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে গত মাসে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার শিকার গ্রিসের পতাকাবাহী একটি তেলের ট্যাংকার থেকে প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেল ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন এমভি সাউনিন থেকে প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অভিযান চলছে। খবর: বিবিসি।
গত ২১ আগস্টে ট্যাংকারটিতে হুতি হামলার পর এর ক্রুরা ট্যাংকারটিকে ওমান উপকূলে ফেলে রাখে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর সুরক্ষার আওতায় প্রাইভেট কোম্পানিগুলো ট্যাংকারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে। গত সোমবার থেকে ট্যাংকারটিতে আগুন জ্বলছে এবং এটি থেকে সাগরে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি তেল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড মঙ্গলবার বলেছে, হামলার শিকার ট্যাংকারের তেল ছড়িয়ে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা আছে।তারা এই বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য হুতিদের দোষারোপ করেছে।ট্যাংকারটিকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড। তবে উদ্ধারকারী জাহাজ সাউনিন ট্যাংকারের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
লোহিত সাগরের ওই অঞ্চলে নিয়োজিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক বাহিনী বলেছে, ট্যাংকার মূল ডেকে আগুন জ্বলছে। যদিও তেল ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে সতর্ক করে বলেছিল, সাউনিন থেকে তেল ছড়ালে তা ১৯৮৯ সালের এক্সন ভালদেজ তেল বিপর্যয়ের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি বিপর্যয় ডেকে অনতে পারে।
গতবছরের নভেম্বরে প্রথম লোহিত সাগরের জলপথে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হুতিরা। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলের হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।
এ পর্যন্ত তাদের চালানো ৭০টির বেশি হামলার ঘটনায় দু’টি জাহাজ ডুবে গেছে, একটি জাহাজ আটক করে নিয়ে গেছে তারা আর অন্তত তিনজন নাবিক নিহত হয়েছেন। এদিকে গত সপ্তাহে লোহিত সাগরে আরো দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা করেছে ইয়েমেনের হুথিরা। সৌদি আরবের পতাকাবাহী আমজাদ ও পানামার পতাকাবাহী ব্লু লাগুন ট্যাংকারে এই হামলা হয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সালিফ বন্দরের ৭০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্লু লাগুনে তিনটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে এ হামলা করা হয়।
তবে পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকার ব্লু লেগুনে হামলার দায় স্বীকার করে হুথিরা। তারা জানায়, ব্লু লেগুনে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালানো হয়। সৌদির পতাকাবাহী ট্যাংকারের বিষয়ে কিছু জানায়নি হুথিরা।
