সাপ্তাহিক লেনদেনের ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ লিন্ডে বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ১০ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৪৬৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯২টি শেয়ার মোট ৭ হাজার ৪৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে অন্তর্বর্তীকালীন চার হাজার ১০০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৪১০ টাকা হারে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ জুলাই ২০২৪ শেষে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪১৫ টাকা ৮ পয়সা এবং উল্লিখিত তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৩২ টাকা ৩৫ পয়সা এবং আলোচিত এই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ১৯ পয়সা। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেনি। এর আগে ঘোষিত ১ হাজার ৫৪০ শতাংশ অন্তর্র্বর্তী লভ্যাংশই কোম্পানিটির চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত অন্তর্র্বর্তীকালীন আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৭৪ দশমিক ১২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ২ পয়সা। আগের বছরে যা ছিল ৫৮ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৭১ টাকা ২৭ পয়সা। এর আগে ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সায়। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ।

লিন্ডে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৩০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসির দৈনিক গড়ে ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ১১ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০