নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বৈরাচারের দোসররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেশী দেশ বিভিন্নভাবে তাদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এজন্য বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল শুক্রবার জিয়া প্রজš§ দল আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদসহ সবাই মাঠে নেমেছিল। কারণ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গত ১৫ বছর জনগণ কথা বলতে পারেনি। তরুণ প্রজš§ ভোটার হয়েছে, কিন্তু ভোট দিতে পারেনি। বারবার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে অবৈধ সরকার জনগণের পেটের ওপর লাথি মেরেছে। অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সর্বপ্রথমে গ্রেপ্তার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৭ বছর সরাসরি সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংকগুলোয় লুটপাট চালিয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখায় রাষ্ট্র সংস্কারে সব প্রস্তাব রয়েছে। এ রূপরেখা দেড় বছর আগেই দেয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে ছিল একজন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন এবং জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচিত হবে। আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব’ বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাইÑভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দরকার একটা নির্বাচিত সরকার, যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। বিএনপি কিন্তু একবারও বলেনি তাদের ক্ষমতায় আনতে হবে। এখন সেøাগান নয়, রাষ্ট্রের গঠনমূলক কাজ করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে ভবিষ্যতে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য কারাগারে ‘সেøা পয়জন’ করা হয়েছিল। আজকে তিনি এতই অসুস্থ যে, তাকে আড়াই ঘণ্টা উড়োজাহাজে করে বিদেশে পাঠানোর উপায় নেই। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন ডাক্তাররা। তিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করলেও সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। আপস করলে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।