শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক স্কুলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত আটটি রাজ্য তাদের স্কুলগুলোয় মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করেছে। খবর: এবিসি নিউজ।
ভার্জিনিয়ার স্কুলগুলোকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম ঠিক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু স্কুল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
ভার্জিনিয়ার উইনচেস্টারে জন হেন্ডলি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুল চলাকালীন মোবাইল ফোন চালানোর অনুমতি নেই। স্কুলে প্রবেশের পর নির্দিষ্ট একটি স্থানে সবাইকে ফোন রেখে যেতে হয়। অথবা ফোন বন্ধ করে ব্যাগের ভেতরে রেখে দিতে হয়।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, দেশের ৭২ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন স্মার্টফোন ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ব্যাহত হয়। অনেক শিক্ষার্থী ফোন ব্যবহার না করার ব্যাপারটি পছন্দ করে না। তবে তারা এও স্বীকার করে, স্কুলে ফোন ব্যবহার করলে মনোযোগ ব্যহত হয়।
এক শিক্ষার্থী জানায়, এই প্রজন্ম স্মার্টফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা শিখেছে। ছোট নোট লিখে কিংবা বার্তালাপের মাধ্যমে যোগাযোগকে তারা আকর্ষনীয় হিসেবে দেখে না। তবে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সামনে আনতে কংগ্রেসকে অনুরোধ করেন সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি। তার মতে, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্সার ও তাদের জীবনযাপনের ধরন মানুষকে প্রভাবিত করে। তখন মানুষ এসব ইনফ্লুয়েন্সারদের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখে ও চেষ্টা করে। এভাবেই মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
অলাভজনক সংস্থা কমনসেন্স মিডিয়ার এক জরিপে দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী দিনে গড়ে ২৩৭টি নোটিফিকেশন পায়। আর ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল চলাকালীন ফোন ব্যবহার করে।
হেন্ডলির এক শিক্ষার্থীর বাবা সুপারইনটেনডেন্ট ভেন হিউকেলাম। তার মতে, শিক্ষার্থীদের অনেকে অনলাইনে বুলিং করে কিংবা বুলিংয়ের শিকার হয়।
দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফোন ব্যবহার না করলে তারা বুলিং থেকে দূরে থাকবে। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নত হবে। এদিকে কমনসেন্স মিডিয়ায় প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ করে ফেলছে বলে মত দিয়েছেন গবেষক ও অভিভাবকদের একটি অংশ। এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
