‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের ক্যাটেগরি পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ‘জেড’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে এই কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন শুরু হয়েছে। এর আগে ডিএসইতে গত ১ অক্টোবর প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল, ওইদিন থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত হয়েছে। তবে গতকাল আরেক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, গতকাল থেকে ফের ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হবে কোম্পানিটির।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এ লভ্যাংশ দেয়ায় কোম্পানিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তন হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে ৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৪ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। গতকাল দিনজুড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৪১৪টি শেয়ার মোট ২০৫ বার হাত বদল হয়, যার বাজারদর ২৪ লাখ টাকা।

বিমা খাতের এই কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭১ কোটি ৪ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৭ কোটি ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ ও বাকি ৬০ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০