নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। একইসঙ্গে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) হিসাবেও ইপিএস বেড়েছে। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে ইপিএস ৫ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং রাজধানীর ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৯ পয়সা। আর এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৬২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৪ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৩টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৫৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বা ২ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৩৯টি শেয়ার মোট ১৯১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।
