বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের শেয়ারদর ৩০ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৭টি শেয়ার মোট ২১৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে লোকসানে ডুবতে থাকা কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালের পর আর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এমনকি গেল জুলাইতে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৫৮ পয়সা লোকসান ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা ৪২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা (ঘাটতি)।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৪টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৪ পয়সা (লোকসান), আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৮ পয়সা (লোকসান)। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ১ টাকা ৬৪ পয়সা কমেছে।

অন্যদিকে ২০২৩ হিসাবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৬৩ পয়সা। অন্যদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ৮৫ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ০৯ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা (ঘাটতি)।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯ টাকা ৭৮ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ১০৬ টাকা ৮৩ পয়সা (লোকসান)। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাবছরে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেডের ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০