নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওরিয়ন ইনফিউশনের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব দিয়েছিল। রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি ৩৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য বিএসইসিতে রাইট শেয়ার ইস্যুর জন্য আবেদনও করেছিল। কিন্তু বিএসইসি কোম্পানিটির সেই রাইট শেয়ার ইস্যুতে সম্মতি দেয়নি। এর আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় দুইটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) বিনিয়োগকারীদের সম্মতি নেন কোম্পানিটি। প্রতিটি ইস্যুকৃত শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ টাকা এবং যেখানে প্রতিটি শেয়ারের প্রিমিয়াম মূল্য ছিল ১০ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশন ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ এবং বাকি ৫৩ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৮ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৩০১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২২ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন ১ লাখ ১১ হাজার ১৩টি শেয়ার ১ হাজার ৭৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৬৬ টাকা থেকে ৭২৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।