শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়া–নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি তেলের টার্মিনালে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। এখান থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। খবর: আল জাজিরা।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ায় দখল হয়ে যাওয়া ফিওদোশিয়ায় রাতে শত্রুপক্ষের জ্বালানি তেলের টার্মিনালে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলেন, রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের ফিওদোশিয়া টার্মিনাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে দুর্বল করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফিওদোশিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগ দেয়া কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সোমবার সকালে জ্বালানি তেলের ওই টার্মিনালে আগুন লেগেছে। তবে আগুনের উৎস সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অধিকারে রয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের একটি বন্দর-শহরে তেলের ডিপোয় আগুন লেগেছে। কোনো প্রাণহানির খবর নেই। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের ১২টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেন মোট ২১টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।
এই আক্রমণ রাতে হয়েছিল বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।কিয়েভ সিটি মিলিটারি অর্গানাইজেশনের প্রধান প্রশাসক বলেছেন, রাশিয়ার এই আক্রমণে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে,তারা রাশিয়ার ৩২টি ড্রোন ও দুইটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের একটি বিমানঘাঁটিতে গিয়ে পড়েছে। এদিকে রাশিয়ার একটি আদালত এক মার্কিন নাগরিককে ছয় বছর ১০ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, ওই মার্কিন নাগরিক ইউক্রেনের ভাড়াটে যোদ্ধা হিসাবে কাজ করছিল। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ওই মার্কিন নাগরিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তাকে অস্ত্র দেয়া হয়। তারপর সে লড়াই করতে যায় এবং ১২ এপ্রিল রাশিয়ার সেনার হাতে ধরা পড়ে।