ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা: ইসলামি ব্যাংকিং শরিয়াহ নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত একটি দ্রুত বিকাশমান ব্যাংকব্যবস্থা। এর মূল চালিকাশক্তিই হলো শরিয়াহ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, ইসলামি ব্যাংকিং বলতে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করাকে বোঝায়। ইসলামি ব্যাংকের মূলনীতিগুলো হলো লাভ ও লোকসানের ভাগ নেয়া এবং সকল প্রকার লেনদেনে সুদ নিষিদ্ধ করা।
ব্যবসায়িক কার্যক্রম শরিয়াহসম্মত উপায়ে সম্পাদনের জন্য ইসলাম ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থরক্ষার্থে কিছু বিধিবিধান দিয়েছে। সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় মানুষের প্রয়োজন পুরণেই মহান আল্লাহ তায়ালা ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকে হালাল করেছেন। ইসলামের অপরাপর বিষয়ের মতো লেনদেন ব্যবস্থায়ও কিছু সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থরক্ষার জন্য ইসলাম কিছু বিধান প্রণয়ন করেছে। ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি কার্যক্রম হলো মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বা বাই আস্সর্ফ। শরিয়াহর পরিভাষায় মুদ্রার লেনদেনকে বাই আস্-সর্ফ বলা হয়। সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুভাবে হতে পারে। যথা—১. ভিন্ন দেশের মুদ্রার লেনদেন, যাকে ফরেক্স বলা হয়। ২. একই দেশের মুদ্রার লেনদেন।
বাই আস্-সর্ফ: আরবি ‘বাই’ শব্দের অর্থ ক্রয়-বিক্রয়, আর সর্ফ শব্দের অর্থ হচ্ছে হস্তান্তর করা, স্থানান্তর করা, বৃদ্ধি হওয়া প্রভৃতি। মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় অথবা সোনা, রুপা বা মুদ্রার পরস্পর বিনিময় করাকে বাই আস্-সর্ফ বলা হয়। বাই আস্-সর্ফ বলতে একই বা ভিন্ন ধরনের অর্থের বিনিময়ে অর্থ বিনিময়ের চুক্তিকে বোঝায়। অর্থ হলো বিনিময়ের একটি মাধ্যম, যা মুদ্রা, স্বর্ণ, রৌপ্য বা শরিয়াহ দ্বারা স্বীকৃত কোনো বিনিময়ের মাধ্যম। শরিয়াহর দৃষ্টিতে একই প্রকারের দুটি জিনিস কমবেশি করে ক্রয়-বিক্রয় করা হলে সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। তবে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের দুটি জিনিস যদি কমবেশিতে ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, তাহলে এটি সুদের অন্তর্ভুক্ত হয় না; তাই এ ধরনের ব্যবসা বৈধ।
বাই আস্-সেফর বৈশিষ্ট্য: ক. সলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সাধারণত মুদ্রা ও বিনিময় বিলের মূল্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাই আস্-সর্ফ পদ্ধতি অনুশীলন করা হয়; খ. ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তার গ্রাহকের কাছ থেকে উভয়ের সম্মতিতে নির্ধারিত বিনিময় হারে বৈদেশিক মুদ্রা ও বিনিময় বিলের মূল্য স্পটে (spot) ক্রয় করে থাকে; গ. বাই আস্-সেফর ক্ষেত্রে গ্রাহক ও ব্যাংকারের মধ্যে একজন ক্রেতা ও অন্যজন বিক্রেতা।
অ্যাওফির (AAOIFI) শরিয়াহ স্ট্যান্ডার্ড নম্বর-১ অনুযায়ী মুদ্রা ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য শরিয়াহর বিধানগুলো হলো—ক. চুক্তি সম্পাদনকারী দুই পক্ষ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তাদের লেনদেনকৃত মুদ্রা ও এর বিনিময়মূল্যের ওপর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ দখল অর্জন করতে হবে; খ. একই ধরনের মুদ্রার বিনিময়মূল্য অবশ্যই সমান সমান হতে হবে, যদিও এগুলোর একটি একই দেশের কাগজি মুদ্রায় ও অন্যটি ধাতব মুদ্রায় হয়। যেমন একই রাষ্ট্রের কাগজি মুদ্রা ও ধাতব মুদ্রা; গ. সমজাতীয় মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমান সমান অর্থাৎ সমমূল্যমানের হতে হবে; ঘ. চুক্তিতে ‘খিয়ারের শর্ত’ অথবা লেনদেনকৃত মুদ্রার কোনো একটি অথবা উভয়টি বিলম্বে পরিশোধের শর্ত থাকতে পারবে না; ঙ. মুদ্রা ব্যবসায় মজুতদারির লক্ষ্য থাকতে পারবে না; চ. মুদ্রার অগ্রিম লেনদেনের চুক্তি করা হারাম; ছ. ক্রয়-বিক্রয় নগদে হতে হবে, বাকিতে হতে পারবে না; জ. মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে সুদ, জুয়া কিংবা অজ্ঞতার কোনো উপাদান থাকতে পারবে না।
বাই আস্-সর্ফ বৈধ হওয়ার দলিল: আবু সাঈদ খুদরী (রা.) ও আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে খায়বারে তহসিলদার নিযুক্ত করেন। সে জানিব নামক (উত্তম) খেজুর নিয়ে উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, খায়বারের সব খেজুর কি এ রকমের? সে বলল, না, আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসুল! এরূপ নয়, বরং আমরা দু‘সা’-এর পরিবর্তে এ ধরনের এক‘সা’ খেজুর নিয়ে থাকি এবং তিন‘সা’-এর পরিবর্তে এক দু‘সা’। তখন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরূপ করবে না; বরং মিশ্রিত খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিরহাম দিয়ে জানিব খেজুর ক্রয় করবে। (বুখারি শরিফ হাদিস নং-২২০১)
মালিক ইবনু আওস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একশ’ দিনারের বিনিময়ে সারফের জন্য লোক সন্ধান করছিলেন। তখন তালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রা.) আমাকে ডাক দিলেন। আমরা বিনিময়দ্রব্যের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করতে থাকলাম।
অবশেষে তিনি আমার সঙ্গে সারফ করতে রাজি হলেন এবং আমার কাছ থেকে স্বর্ণ নিয়ে তার হাতে নাড়াচাড়া করতে করতে বললেন, আমার খাজাঞ্চি গাবা (নামক স্থান) থেকে আসা পর্যন্ত (আমার জিনিস পেতে) দেরি করতে হবে। ওই সময়ে ‘উমার (রা.) আমাদের কথাবার্তা শুনছিলেন। তিনি বলে উঠলেন, আল্লাহর কসম! তার জিনিস গ্রহণ না করা পর্যন্ত তুমি তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবে না, কারণ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নগদ নগদ না হলে স্বর্ণের বদলে স্বর্ণের বিক্রয় (সুদ) হবে। নগদ নগদ ছাড়া গমের বদলে গমের বিক্রয় সুদ হবে। নগদ নগদ ছাড়া যবের বদলে যবের বিক্রয় রিবা হবে। নগদ নগদ না হলে খেজুরের বদলে খেজুরের বিক্রয় সুদ হবে। (বুখারি শরীফ হাদিস নং-২১৭৪)
ওপরের দুই হাদিস পর্যালোচনা করলে আমরা বলতে পারি—১. সোনার বিনিময়ে সোনা বাইয়ে স্রফ হিসেবে বিক্রি করা বৈধ। শর্ত হলো, সমান সমান এবং নগদ নগদ হতে হবে। ২. সোনার বিনিময়ে রুপা এবং রুপার বিনিময়ে সোনা বেচা বৈধ। শর্ত হলো, তা হতে হবে নগদ। আর কমবেশি করা, যেমন ওজনে সোনা বেশি হওয়া বা রুপা বেশি হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই।
শর্ত শুধু এই যে, সেটা হতে হবে সর্ফ চলাকালেই একেবারে হাতে হাতে। ৩. সোনার বিনিময়ে সোনা বা সোনার বিনিময়ে রুপা কেনা বা বেচা বাকিতে কোনোটাই বৈধ নয়। সুতরাং কেউ যদি সোনার বিনিময়ে সোনা খরিদ করতে চায় আর একজন সোনা হস্তান্তর করে অন্যজন বাকি রাখে, তাহলে তা কিছুতেই বৈধ হবে না। কারণ এ চুক্তিতে পণ্য ও মূল্য হস্তান্তর করার শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে।
রপ্তানিমূল্যের বিপরীতে প্রাপ্ত বিল অব এক্সচেঞ্জের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের শরিয়াহ ভিত্তি: রপ্তানিমূল্যের বিপরীতে প্রাপ্ত বিল অব এক্সচেঞ্জ ক্রয়ের বিষয়টি পুরোপুরিভাবে বাই’ আস্ সর্ফ বা মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল নয়। এখানে একটি বৈধ (Valid) লেনদেনের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় বিল অব এক্সচেঞ্জ ড্র করা হয়, যা ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় হওয়া নিশ্চিত। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) কর্তৃক প্রণীত ইউনিফর্ম কাস্টম অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফর ডকুমেন্টারি ক্রেডিট (ইউসিপিডিসি), ইউনিফর্ম রুলস ফর রি-ইম্বার্সমেন্ট (ইউআরআর) ও ইউরিফর্ম রুলস ফর কালেকশনের (ইউআর) অনুসরণে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) শর্ত পূরণসাপেক্ষে বিল অব এক্সচেঞ্জের মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত।
অতএব এখানে মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ‘ইয়াদান বি ইয়াদিনের’ যে শর্ত আছে, তা লঙ্ঘিত হচ্ছে না এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের হার পরিবর্তনের ফলে বা কিছু দিন বিলম্ব হলেও লাভ-লোকসনের ঝুঁকি থাকে, তবে ঘারারের আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া এখানে একজাতীয় মুদ্রার বিনিময়ে অন্যজাতীয় মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় সংঘটিত হচ্ছে, যা ‘ইিতলাফুল জিনস’ হওয়ার কারণে ইমাম আবু হানিফা (র.) ও ইমাম আবু ইউসুফ (র.)-সহ অনেক ফকিহর কাছে বৈধ। সর্বোপরি, রপ্তানি বিল ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি বহুল প্রচলিত ও স্বীকৃত বিষয় ‘উেফ আম’ হিসেবে বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও এরূপ ক্রয়-বিক্রয় সম্পাদন করে আসছে। আর ‘উেফ ‘আম’ কুরআন-সুন্নাহ্র পরিপন্থি না হলে শরিয়াহর দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়।
উপর্যুক্ত বিষয়গুলো এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বলা যায়, যেসব বিলের মূল্য আদায় হওয়া নিশ্চিত, তা হুকমান ‘ইয়াদান বি ইয়াদিন’ গণ্য করে সেসব বিলে উল্লেখিত বৈদেশিক মুদ্রার কনস্ট্রাকটিভ ডেলিভারির ভিত্তিতে গ্রাহকের কাছ থেকে দুপক্ষের সম্মত মূল্যে ব্যাংক ক্রয় করে নিতে পারে। তবে পরবর্তীকালে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কমবেশি যা-ই হোক, ব্যাংক গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত কিছু দাবি করতে পারবে না এবং গ্রাহকও ব্যাংকের কাছে কিছু দাবি করতে পারবে না। ব্যাংকের যে হিসাব শিরোনাম বিকলন করে নগদে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করা হয়, একই হিসাব শিরোনাম বিকলন করে বিল অব এক্সচেঞ্জে উল্লিখিত বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে হবে। তবে গ্রাহক কোনো ত্রুটিপূর্ণ বিল বিক্রি করলে এবং এ কারণে যথাসময়ে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত না হলে তার দায়দায়িত্ব গ্রাহকের ওপর বর্তাবে। এ-জাতীয় বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য মুদারাবা ফান্ড থেকে প্রদান করা হলে এ খাত থেকে অর্জিত আয় মুদারাবা আমানতকারীদের লভ্যাংশ হিসেবে গণ্য করতে হবে। এ মতামত শুধু রপ্তানিমূল্যের বিপরীতে বিল অব এক্সচেঞ্জের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বাই’ আস্ সেফর অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ মতামত প্রযোজ্য হবে না। (সূত্র: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ‘শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সিদ্ধান্ত (১৯৮৩-২০১৭)’ প্রকাশকাল চতুর্থ সংস্করণ: মে ২০১৭, পৃ.: ১১৯)
উপরিউক্ত নিয়মে মুদ্রাবিনিময় ব্যবসা জায়েজ; তবে শর্ত হলো একই বৈঠকে প্রদান ও গ্রহণ সম্পাদিত হতে হবে। টাকার বিনিময়ে ডলার বিক্রি করা জায়েজ; শর্ত হলো একই বৈঠকে গ্রহণ ও প্রদান সংঘটিত হতে হবে। শুধু টাকা-পয়সা বা সোনা-রুপার ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো বস্তুর ক্ষেত্রেই একই জিনিস কমবেশি করে কেনাবেচা করা বৈধ নয়। এক দেশের মুদ্রা ভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে প্রকার ভিন্ন হওয়ায় কমবেশিতে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েজ আছে, যদি কমপক্ষে কোনো এক পক্ষ মুদ্রার ওপর কবজা করে থাকে, অন্যথায় তা অবৈধ। পক্ষান্তরে দেশি মুদ্রা একই প্রকারের হওয়ার কারণে পরস্পর কমবেশিতে ক্রয়-বিক্রয় শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত অংশ সুদ হিসাবে গণ্য হবে। (আদদুররুল মুখতার ৫/১৭১-১৭২; বুহুসুন ফি কাজায়া ফিকহিয়্যা: ১/১৬৩) (সূত্র: ঢাকাপোস্ট, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১)
ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে ইসলামি ব্যাংকগুলো তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে যাচ্ছে। দেশের ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচার ক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংকগুলো অবদান রেখে চলছে। ইসলামি অর্থনীতির কার্যক্রয় শরিয়াহসম্মত উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য বাই আস্-সর্ফকে জনপ্রিয় করে তুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।