শেয়ার বিজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে জালানী তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর: রয়টার্স।
এক বছর আগে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার ছিল আশঙ্কার দোলাচালে। ভয় ছিল এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেবে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখেও যেখানে ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ অপরিশোধিত জালানি তেল বা ক্রুড অয়েল উত্তোলনকারী দেশ– সেখানে জ্বালানি বাজারে এধরনের যুদ্ধের প্রভাব সুগভীর হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও উভয় দেশ সরাসরি সংঘাতকে এড়িয়েই চলেছে। একারণেই গাজায় যুদ্ধ চললেও – তেহরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাই চালিয়ে এসেছে দীর্ঘদিন। এতে জ্বালানি বাজার প্রথমে কিছুটা অস্থিতিশীল হলেও পরে কমে কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে আসে দাম। এবছরের বেশিরভাগ সময় ধরেই যা বজায় ছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দফতরে করা ওই ভয়াবহ হামলায় হিজবুল্লাহ’র অন্তত এক ডজন শীর্ষ নেতাসহ ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। যার জবাব দিতে গত সপ্তাহে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ১৮০টির বেশি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এবার ইসরায়েল তার পাল্টা হামলার চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
কখন এই হামলা হয় সে ভয় গ্রাস করেছে সবাইকে, জ্বালানি বাজার এক কথায় ‘সন্ত্রস্ত’। গত সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি বা ক্রুড অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০ শতাংশ বেড়ে ৭৮ ডলারে পৌঁছেছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে এক সপ্তাহে সবচেয়ে বড় দর বাড়ার ঘটনা। গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর এক বছরপূর্তিতে তা আবারো বাড়ে।
রাশিয়া যখন ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করে– তখন ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। আবারও একটি প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশের যুদ্ধে জড়ানোর প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।