শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলে সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। তবে এর জবাব দিতে মরিয়া ইসরায়েল। যেকোনো সময় তেহরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে দখলদার বাহিনী। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’ করতে প্রস্তুত ইরান। খবর: আল জাজিরা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরাভানি বলেছেন, আগ্রাসনের জবাব দিতে ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইরান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি বলেন, ইরান যুদ্ধ বা উত্তেজনা চায় না, তবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে আত্মরক্ষার অধিকার চর্চা করতে পারে। এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট ইরানে কঠোর হামলার হুমকি দিয়েছেন। এদিকে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আরও দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। এর আগে গত মাসের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। সে সময় হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে যে, তাদের শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলমান প্রধান দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে ইরান। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করার জন্য আগেই মুসলমানপ্রধান দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ইরান।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই যুদ্ধে তাদের সাহায্যও করছে। ইসরায়েলে সাম্প্রতিক হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) সোচ্চার হতে দেখা গেছে নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের।
আরব বিশ্বের সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো ইসরায়েলি হামলায় হেজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার প্রকাশ্য নিন্দা না করলেও তারা লেবাননের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলেছে।
এই সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো কোনো আরব দেশ যেমন নীরব থেকেছে, কেউ কেউ আবার লেবানন-ইসারেলের সীমান্তে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু এবং তারপরের পরিস্থিতি নিয়ে সুন্নি নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত আরব আমিরাত একেবারে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে। ইউএই’র পাশাপাশি কিন্তু কাতার এবং বাহরাইনও এ প্রসঙ্গে নীরব।
