নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি যমুনা ব্যাংক পিএলসির সাবেক উদ্যোক্তা মৃত ফজলুর রহমানের নামে থাকা শেয়ার তার একজন উত্তরাধিকারীকে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যমুনা ব্যাংক পিএলসির সাবেক উদ্যোক্তা ফজলুর রহমান গত ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোম্পানির মোট ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৯টি শেয়ার ছিল। কোর্টের আদেশক্রমে ওই শেয়ার তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন হবে এবং সম্প্রতি তার ছেলে তথা একজন উত্তরাধিকারী এবং ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালক মো. হাসানের নামে ৬১ লাখ ৭৪ হাজার ৪২৭ শেয়ার (৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১টি বোনাস শেয়ারসহ) হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, যমুনা ব্যাংক পিএলসি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৮২ কোটি ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ১৬৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির ৬ লাখ ২০ হাজার ৬২টি শেয়ার মোট ২৭৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭ পয়সায়। আর প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ টাকা ৬১ পয়সা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬৭ পয়সায় ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৫ টাকা ৮০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল যমুনা ব্যাংকের পর্ষদ। ২০২১ হিসাববছরে ব্যাংকটি সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
