প্রতিনিধি, চাঁপাইনববাগঞ্জ: পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙনের ভয়াবহ রূপ দেখছে চাঁপাইনববাগঞ্জের মানুষ। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, স্কুল, মসজিদসহ বসতবাড়ি। নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণ। তবে ভাঙন রোধে নানা পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিনে চাঁপাইনববাগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়েনের মধ্যচর ও জেল্লাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষ। বিলীন হয়ে যাচ্ছে সংযোগ সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। আলাতুলি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, নদীর পানি বেড়েছে। ভাঙনে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘরের কিছু অংশ নৌকায় করে নিয়ে এসেছি। আবাদি জমিতে সাত-আট বিঘা কালাই ছিল, তাও বন্যায় ডুবে গেছে। প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
আব্দুর রহিম নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা বলেন, চর আলাতুলি ইউনিয়ন বন্যার কারণে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতে বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে গেছে। বন্যা থেকে বাঁচার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এ আশা করি। এরফান আলী বলেন, আমার ছয় বিঘা কলার বাগান ছিল, তা নদীতে নেমে গেছে। বাড়িঘর পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন কোনো রকম জান বাঁচিয়ে আছি। সরকারের কাছে অনুরোধ করছি তারা যেন কিছু সাহায্য সহোযোগিতা করে। হাসিনা বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, নদীভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে। কোথায় থাকব জানি না। সরকার যেন আমাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, নতুন করে নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করছি। আমরা এরই মধ্যে এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারপর মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে।