ডিপথেরিয়া
ক্ষুদ্র এক ধরনের জীবাণু ডিপথেরিয়া রোগাক্রান্ত শিশুর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ওই জীবাণু যখন সুস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে, তখন রোগটি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ: ১-৩ দিন: শিশু খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দেয়।
৪-৬ দিন: খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। কণ্ঠনালির গ্রন্থিগুলো খুব বেশি ফুলে যায়।
করণীয়: জম্মের এক বছরের মধ্যে ২৮ দিন বা এক মাস পর পর তিন ডোজ ডিপিটি টিকা দিলে রোগটি থেকে রক্ষা পায় শিশু।
হুপিং কাশি: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত শিশু হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় বাতাসের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শেও রোগটি ছড়ায়।
লক্ষণ: শিশুর জ্বর হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়, কাশি হয়।
করণীয়: জন্মের এক বছর বয়সের মধ্যে ২৮ দিন বা এক মাস অন্তর তিন ডোজ ডিপিটি টিকা দিয়ে শিশুকে হুপিং কাশি থেকে রক্ষা করা যায়। ছয় মাস বয়সের মধ্যেই শিশু মারাত্মকভাবে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এজন্য ছয় সপ্তাহ বয়স থেকেই ডিপিটি দেওয়া শুরু করা জরুরি।