নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের বিদেশি সহায়তা ছাড়াই তিন দশক আগে বাংলাদেশ সরকার পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠা করেছিল। পিকেএসএফ তার কাজের মাধ্যমেই সবার নজর কেড়েছে এবং পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু শুরুর দিকে এটি কেবল বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নেই পরিচালিত হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল, যা এখন সাড়ে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের পর দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। আমাদের উন্নয়নের একমাত্র লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ মেলা আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী। পিকেএসএফ মোট ১৫৩টি ইউনিয়নে কাজ করছে। তবে ধীরে ধীরে দেশের সব ইউনিয়নে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি সরকারকেও গণমুখী হতে হবে। এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সফলতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, আমাদের উন্নয়ন সংস্থাগুলোর উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন এবং যোগাযোগ বৃদ্ধিই হলো মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। এ সময় তিনি পিকেএসএফ এর কার্যক্রম সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য রাজবাড়ীর কেকেএসের নির্বাহী পরিচালক ফকির আব্দুল জব্বার ও রিকের আবুল হাসিব খানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদনকারীদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে পিকেএসএফ এ উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উš§ুক্ত থাকবে। মেলায় প্রতিদিনই সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।