টাইলস আমদানি-রফতানিতে নীতিমালা চান উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের নীতি-সহায়তা পেলে তৈরি পোশাকের মতো বিদেশে বিপুল পরিমাণ টাইলস রফতানি সম্ভব। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন। কারণ ১১ ধরনের টাইলসের মধ্যে বাংলাদেশে শুধু তিন ধরনের টাইলস উৎপাদন হয়। বাকিগুলো আমদানিনির্ভর। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যদি নীতিমালার মাধ্যমে উন্নতমানের টাইলসের বিস্কুট আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের সুযোগ দেয়, তাহলে দেশে অনেক পলিশিং ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। এসব ফ্যাক্টরি থেকে বিদেশে ফিনিশড টাইলস রফতানি সম্ভব।

গতকাল বুধবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে টাইলস রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। টাইলস ডিলার্স অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান শরীফ বলেন, বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি আনগেøজড-আনফিনিশড টাইলস আমদানির পর পলিশিং করে বিদেশে টাইলস রফতানি করছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র কাস্টমসকে ভুল বুঝিয়ে রফতানিতে বাধার সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৪০ কন্টেইনার আনগেøজড-আনফিনিশড টাইলস আটক করা হয়েছে। তাদের দাবি, এগুলো ফিনিশড প্রোডাক্ট। অথচ বুয়েট টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে, এগুলো আনগেøজড টাইলস। এ অবস্থায় একদিকে বিদেশি ক্রেতারা তাদের অর্ডার ফিরিয়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে বন্দরের মাশুল গুনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এনবিআর থেকে শুল্ক গোয়েন্দা, বন্ড কমিশনারেট, কাস্টমস হাউজের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করলে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। তার আগে বন্দর থেকে টাইলসগুলো অঙ্গীকারনামা অথবা বন্ডের মাধ্যমে খালাস জরুরি। কারণ ব্যাংকঋণের সুদ দিন দিন বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রফতানি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। এতে একটি সম্ভাবনাময় খাতের অপমৃত্যু ঘটবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জিয়াউদ্দিন বলেন, বিদেশে টাইলস রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের ধারণা, বন্ড সুবিধার আওতায় আনগেøজড/আনপলিশড টাইলস আমদানির পর সেটি পলিশ করে খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ-তাইওয়ান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ সব টাইলস বিদেশে রফতানি করছে, যার সব প্রমাণ আছে। কাস্টমসের ভুল সিদ্ধান্ত ও টাইলস ডিলার্স অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অপপ্রচারের কারণে বর্তমানে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, টাইলস আমদানি-রফতানির নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। কারণ ১১ ধরনের টাইলসের মধ্যে তিন ধরনের টাইলস দেশে উৎপাদন হচ্ছে। বাকিগুলো আমদানিনির্ভর। এসব টাইলসের বডি কাঁচামাল হিসেবে শুল্ক ছাড়ের মাধ্যমে আমদানির সুযোগ দিলে দেশে আরও পলিশিং কারখানা গড়ে উঠবে। তৈরি পোশাকের পর টাইলস রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। বর্তমানে ভারতে ৪০০’র বেশি পলিশিং ফ্যাক্টরি আছে। এসব ফ্যাক্টরির ফিনিশড টাইলস রফতানি করে ভারত দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। টাইলসের প্রধান রফতানিকারক দেশ চীনে সাত হাজারের বেশি পলিশিং ফ্যাক্টরি আছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০