সাজেক উপত্যকায় বেড়াতে গিয়ে অনেক নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তৈরি খাবারগুলো জিভে জল এনে দেয়।
সাজেকের ঐতিহ্যবাহী খাবারের অন্যতম বাঁশ! বাঁশের ভেতর বিশেষভাবে রান্না করা মুরগির মাংসের স্বাদ জিভে লেগে থাকবে দীর্ঘদিন। বাঁশ ভাজি, বাঁশ ডাল তো আছেই। আরও আছে শুঁটকি ভর্তা, পাহাড়ি মুরগি পোড়া, পাহাড়ি সবজি (জুমচাষের সবজি), কলাগাছের ভর্তা প্রভৃতি। এছাড়া স্থানীয় অনেক ধরনের খাবার খেতে পারবেন।
চাইলে খাগড়াছড়ি কিংবা রাঙামাটিতে গিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী খাবারও খেতে পারেন। এখানকার হোটেলগুলোয় খাবার যেন পর্যটকদের জন্যই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে কচি বাঁশের নানা পদের খাবার। যেমন কলার মোচা ভর্তা, কাঁচা হলুদ ভর্তা, ছোট মাছ দিয়ে হলুদ ফুলের সবজি, কলাপাতায় মোড়ানো ছোট মাছ, কলমি ভর্তা, থানকুনি পাতার ভর্তা, ডিম মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি সেদ্ধ সবজি, চিকেন গুরদানি, পাহাড়ি হাঁসের মাংসের কালাভুনা, কাঁচকি ফ্রাই, ভর্তা প্রভৃতি। মৌসুমভেদে আরও কিছু পদ তৈরি করা হয় এখানে। এখানকার খাবার মুখে দেওয়ার পরই মনে হয় আহ্ কী স্বাদ!