লেনদেনে এগিয়ে ব্যাংক পিছিয়ে প্রকৌশল  

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়মিতই বাড়ছে ব্যাংক খাতের লেনদেন। তবে পিছিয়ে পড়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতটির লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। বস্ত্র খাতের লেনদেনেও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের এমন চিত্র ফুটে উঠেছে।

তথ্যমতে, গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। মোট লেনদেনের  ৩৯ শতাংশই ছিল খাতটির। গেল সপ্তাহে ব্যাংক খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩৪৭ কোটি টাকা। পরের অবস্থানে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ ছিল এ খাতের দখলে। গেল সপ্তাহে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এছাড়া মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের অংশগ্রহণ ছিল পাঁচ শতাংশ। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা।

এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অংশগ্রহণ ছিল ৩৫ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ২৪৫ কোটি টাকা। পরের অবস্থানেই ছিল প্রকৌশল খাত। খাতটি মোট লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল ১৭ শতাংশ। ওই সময় প্রকৌশল খাতের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১১৯ কোটি টাকা। বস্ত্র খাতের লেনদেনের হার ছিল পাঁচ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার বেড়েছে চার শতাংশ। বিপরীত দিকে প্রকৌশল খাতের লেনদেনের হার কমেছে চার শতাংশ। পাশাপাশি বস্ত্র খাতের লেনদেনের হার কমেছে এক শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের বেশিরভাগ সময় ব্যাংক খাতের ওপর ভর করে বাজার গতিশীল ছিল। বেশ কিছুদিন আগে ব্যাংক খাতের লেনদেন অনেকটা কমে যায়। এতে পুরো বাজারের ওপর প্রভাব পড়ে। আলোচিত সময় থেকেই জুনে হিসাববছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর ডিক্লারেশনের মৌসুম চলমান। সে হিসেবে এসব কোম্পানি বাজারে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ফের ব্যাংক খাতের লেনদেন বাড়ায় বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা। তবে জুনে হিসাববছর শেষ হওয়া কিছু কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লে সেগুলোর লেনদেনও ইতিবাচক ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এতে মোট লেনদেনে বেশ প্রভাব পড়বে।

এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এবারই অসময়ে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে জুন ক্লোজিংয়ের কিছু কোম্পানির ভালো ডিক্লারেশনে বিনিয়োগকারীরা সেসব কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে জুন ক্লোজিং কোম্পানির লেনদেন বাড়ে।

এদিকে পিই রেশিও অনুযায়ী ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনোয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যাংক খাতের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক পাঁচ পয়েন্টে। এরপরেই জুন ক্লোজিং দু-একটি খাতের পিই রেশিওর অবস্থান। এর মধ্যে জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১৩ দশমিক ৪০ পয়েন্টে এবং বিমা খাতের ১২ দশমিক সাত পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক চার পয়েন্টে। এরপরের জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ছিল ১৩ দশমিক শূন্য পয়েন্টে এবং বিমা খাতের পিই রেশিও ছিল ১২ দশমিক শূন্য পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত আছে। এছাড়া প্রকৌশল খাতের ৩৫টি প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতে ৪৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০