ব্রিটিশ নাগরিক গ্রাহাম হিউ মাত্র চার বছরের কাছাকাছি সময়ে ২০১টি দেশ ভ্রমণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকে। এর মধ্যে তিনি একবারও বিমানে চড়েননি। তার বাহন ছিল বাস, ট্যাক্সি, ট্রেন আর মনোবল। দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা ভ্রমণের মাধ্যমে মহাকাব্যি ভ্রমণ পর্ব চুকিয়ে গ্রাহাম ফিরে যান ইংল্যান্ডের লিভারপুলে।
ভ্রমণপিপাসু গ্রাহাম হিউজই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বিমানে না চড়ে ২০১টি দেশ ভ্রমণ করেন। চলার পথে অনেক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। যেমন ধরুন, কেপ ভার্দে যাওয়ার সময় ছিদ্রযুক্ত নৌকায় কাটাতে হয়েছিল প্রায় চার দিন। কঙ্গোতে জেল খাটতে হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। রাশিয়ায় গ্রেফতার হন ‘ছিঁচকে চুরির’ অভিযোগে। জেন নামে এক ফিলিপিনোর সাহায্যে মুক্তি পান জঙ্গিদের হাত থেকে।
২০০৯ সালে নতুন বছরের প্রথম দিনে লিভারপুলে ফেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তার বিশ্বভ্রমণ। ‘ক্রিশিয়ান সায়েন্স মনিটর’কে তিনি বলেন, ‘আমি ভ্রমণ ভালোবাসি। একই সঙ্গে আমার চিন্তা ছিল আমি বিশ্বকে দেখাতে চাই এটি খুব বেশি বড় নয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক ভয়ানক জায়গা রয়েছে। এরপরও বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ অন্যকে সহযোগিতা করার অপেক্ষায় আছে।’
তিনি জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি তাইওয়ান, ভ্যাটিকান সিটি, ফিলিস্তিন, কসভো, পশ্চিম সাহারা এবং যুক্তরাজ্যের চারটি রাজ্য ভ্রমণ করেন। তার এ অর্জন গিনেস বুকে স্থান পেয়েছে। এজন্য তাকে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তাকে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আমাকে বর্তমানের এ জায়গায় এসে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছেন। আমি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ এ কারণে যে, তারা আমাকে সব সময় সঠিক পথনির্দেশনা দিয়েছেন।’ তার ভ্রমণ শুরু হয়েছে উরুগুয়ে থেকে এবং শেষ হয়েছে দক্ষিণ সুদানে।
Add Comment