নিজস্ব প্রতিবেদক : সততার সঙ্গে গ্রাহকের সেবা করুন, বিদ্যুৎ বিভাগের কাজই হচ্ছে নাগরিককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা প্রদান করা, এ-সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। কোম্পানিগুলো লাভজনক, না লোকসানি সে বিবেচনার প্রয়োজন নেই; বিষয়টি সরকার দেখবে।
গতকাল বিদ্যুৎ ভবনে সেক্টর লিডারস ওয়ার্কশপ ২০১৭-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা শেয়ার ও কাজকর্মে উজ্জীবিত করার লক্ষ্য নিয়েই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কারিগরি সেশনের বিষয়বস্তু সময়োচিত ছিল। এন্টি ও মিড লেভেলের ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে-কলমে আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় হতেই শুরু করা গেলে আরও ভালো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতার প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে আমরা সচেতন। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে আমাদের কিছু করার না থাকলেও এডাপসন ও কপিং নিয়ে কাজ হচ্ছে। এলএনজি নিয়ে জুনিয়র লেভেলে প্রশিক্ষণ বাড়ানো দরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, প্রযুক্তি ও অর্থায়ন এবং নেতৃত্ব ও সক্ষমতা উন্নয়ন সামনে রেখে সেক্টর লিডারস ওয়ার্কশপ-২০১৭ আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে দিন দিন বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০১৭-২১ সালের মধ্যে ২১ বিলিয়ন ডলার, ২০২২-৩১ সালের মধ্যে আরও ২৪ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩২-৪১ সালের মধ্যে আরও অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার এ খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। যদিও আরও অর্থ ব্যবহারের সক্ষমতা এ বিভাগ অর্জন করেছে। ২৪-২৫ নভেম্বর দুদিনব্যাপী কর্মশালায় চারটি টেকনিক্যাল সেশনে আটটি কী-নোট পেপার উপস্থাপন করা হবে। ২৫টি মন্ত্রণালয় হতে ২০০ কর্মকর্তা এবারের সেক্টর লিডারস ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন।